খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেছেন, মানুষের গুরুত্বপূর্ণ চাহিদার মধ্যে খাদ্য এবং ঔষধ অন্যতম। তাই কেউ যদি মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি, খাদ্যে ভেজাল, অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ খাবার তৈরি ও বিক্রি অথবা এ সংশ্লিষ্ট কোনো অপরাধ করে। তাহলে জেলা প্রশাসন থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দেন। এবং ভোক্তা হয়রানির মতো সকল সমস্যা সমাধানে সবাইকে এক সাথে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামানে সভাপতিত্বে শুক্রবার সকাল ১০টায় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি, ভোক্তার স্বার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করি’ এই প্রতিপাদ্যে অংশীজনদের নিয়ে খাগড়াছড়িতে আয়োজিত বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দিবসটি পালন উপলক্ষে একটি শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ করে।
সভায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ-এর সহকারি পরিচালক নাছরিন আক্তার বলেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ ও খাদ্যদ্রব্য বিক্রি, খাবারে শিল্পকারখানার রঙ ব্যবহার ও অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় খাদ্য তৈরী এবং সংরক্ষণের মতো ঘটনা তুলে ধরে সভায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন।
সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের জন্য ব্যবসায়ীদের যেমন আইনের আওয়তায় আনতে হবে, তেমনি ভোক্তাদেরও তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। ভোক্তা অধিকার আইন অনুযায়ী কোনো ভোক্তা প্রতারিত হলে, প্রমাণ সহ অভিযোগ করলে ভুক্তভোগী জরিমানার কিছু অংশ পাবেন। পৃথিবীর সকল মানুষই ভোক্তা। জরুরি ঔষধ এবং খাদ্যের মতো পণ্যে ব্যবসায়ীদের মেয়াদ উত্তীর্ণ, খাদ্যে ভেজাল ও অতিরিক্ত দাম না নেওয়ার আহবান জানানো হয়।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ সদস্য মংক্যচিং চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শানে আলম, জেলা খাদ্য কর্মকর্তা রুপান্তর চাকমা, জেলা বিপনণ কর্মকর্তা তুষার চাকমা, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী, ক্যাব-খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি আবু তাহের মুহাম্মদ, সিআরবি’র জেলা সম্পাদক আব্দুর রউফ, খাগড়াছড়ি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতা ফরিদ আহাম্মদ এবং হোটেল – রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি পেয়ার আহাম্মদ প্রমুখ।