মিতিংগাছড়ির সাধনা চাকমা পল্পী সঞ্চয় ব্যাংক থেকে ঋন নিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করে ছিলেন। লোভাংশ থেকে নিয়মিত কিস্তিও দিচ্ছে, ব্যবসায় উন্নতি হচ্ছে, স্বপ্ন বুনছে ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর।
রোববার রাঙামাটি জুরাছড়ি উপজেলায় অগ্নিকান্ডে পুজিসহ সকল মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শুধু সাধনা নয়- বালুখালীর সংগীতা চাকমা, নতুন পাড়ার পলি চাকমার অবস্থা একই। তারা ব্যবসা করার জন্য কেউ পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, আবার কেউ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সিআইপি, আইডিএফ থেকে ঋন নিয়েছে। তারা সবাই হতাশা গ্রস্থ্য, সরকারি বেসরকারি ভাবে সহযোগিতায় এগিয়ে না এলে নতুন ভাবে ব্যবসা শুরু করা নিয়ে সংশয় তারা।
এদিকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী শুভ চাকমা। দুমদুম্যা তার বাড়ি। উপজেলা কোর্ট বিল্ডিং এলাকায় আত্মীয় বাসায় থেকে পড়া লেখা করে। সেই আগুনে বসত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, পুড়ে গেছে শুভর সকল বই-খাতা, কাপড় শোপর। রয়েছে এক ড্রেসে। ভিজা কাপরে। সে কোন সহযোগিতা পাইনি এখনো। পড়া লেখা বন্ধ করে ঘরে চলে যাওয়ার কথা ভাবছে ।
মোঃ শাহাব উদ্দিন মুরগী ব্যবসায়ী। বউ বাচ্চা নিয়েই দোকানে তাকেন। সব কিছুই পড়ে এখন সে সর্বশান্ত। বউ বাচ্চা নিয়ে গতকাল (রোববার) রাত কাটান মরজিদের বারান্দায়।
উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা বলেন সকল ব্যবসায়ী আগুনে মালামাল পুড়ে সর্বশান্ত হয়েছে। তাদের পাশে উপজেলা পরিষদ-প্রশাসনের পাশাপাশি সকল সরকারি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিতেন্দ্র কুমার নাথ বলেন, জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে প্রতি পরিবারকে ২৫ কেজি চাল ও সাড় সাত হাজার টাকা প্রদান করা হবে।
এছাড়া এসব দোকান নির্মানে কিভাবে সহায়তা করা যায় উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি নিবিড় ভাবে দেখছে।