মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষনা দিলেন যে নির্বাচন উন্মুক্ত দলীয় প্রতীক থাকবেনা, এমপি-মন্ত্রীকে নির্দেশ দিলেন কাউকে সমর্থন দেয়া যাবেনা। দলের সভাপতি-সেক্রেটারী কোন মঞ্চে যাইয়া বক্তব্য দিতে পারবেন না। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী, দলের প্রধান ঘোষনা দিলেন, সেখানে আপনারা কারা..? আপনারা শুধু ভোটার, আপনাদের কথা বলার অধিকার নেই।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. আবুল কাশেম ভূইয়া সম্প্রতি এক নির্বাচনী সভায় এমন বক্তব্য দেন। ওই সভায় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার তিন মাসের মধ্যে আওয়ামীলীগের শীর্ষ পদে গিয়ে দলের নেতৃত্ব দেবো। আর যদি না পারি তাহলে আমি চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করবো।
সম্প্রতি তার এমন বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এমন বক্তব্যের পর মাটিরাঙ্গা উপজেলা জুড়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝর উঠে। মাটিরাঙ্গা উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ তার এ বক্তব্য’র তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং এ বক্তব্য বিভ্রান্তিমূলক ও আপত্তিকর বলে দাবী করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও বক্তব্যে আবুল কাশেম ভুইয়াকে বলতে শোনা যায়, মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের দুর্দিনে আমি আওয়ামীলীগ পরিচালনা করেছি। এখনও আওয়ামীলীগের দুর্দিন চলছে, এ দুর্দিনেও আমি আওয়ামীলীগের হাল ধরবো।
১৫ বছর আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, খাগাড়ছড়ির অন্যান্য উপজেলায় উন্নয়ন হলেও মাটিরাঙ্গা উপজেলায় উন্নয়ন হয়নি। দলীয় নেতাদের নেতৃত্বের দোষে উন্নয়ন হয়নি দাবী করে তিনি বলেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলায় ১৫ বছরে যে উন্নয়ন হয়নি আমি ৫ বছরে তার চেয়েও দ্বিগুন উন্নয়ন করে দেখাবো।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. আবুল কাশেম ভূইয়াকে বয়কটের আহবান জানিয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সুবাস চাকমা বলেন, তিনি আওয়ামীলীগের কেউ না।আওয়ামীলীগের শীর্ষ পদে আসার সুযোগ নেই। এ সকল ধোকাবাজ মিথ্যাচার, সিরিগুরি ট্যাবলেট বিক্রেতাকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও উপজেলাবাসী যেন বয়কট করে। উনি দল বদলের হ্যাটট্রিক কারী কখনো বিএনপি-জামায়াত, কখনো আওয়ামী লীগ, কখনো জাতীয় পার্টি থেকে এলডিপি আবারও কখনো আওয়ামী লীগ দাবী করেন। উন্নয়ন না হওয়ার যে দাবী তিনি করেছেন তা নিলর্জ মিথ্যাচার বলে দাবী করে সুবাস চাকমা বলেন, মাটিরাঙ্গার বিভিন্ন সেক্টরের উন্নয়ণ কর্মকান্ড দৃশ্যমান। এখানে রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ, কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ছাড়াও পুরো উপজেলায় বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে।
গত ১৫ বছরে মাটিরাঙ্গার উন্নয়ন হয়নি দাবী করে আবুল কাশেম ভূইয়া সরকারের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা চালাচ্ছেন বলে দাবী করে মাটিরাঙ্গা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. হারুনুর রশীদ ফরাজী বলেন, তিনি ভুর্জুয়া রাজনীতি করেন, ওনি মেন্টাল। তিনি আওয়ামীলীগের কেউ না।ওনার ১৯ মাস পর তবলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান গিড়ি চলে গেল কেন তা সাধারণ মানুষ জানতে চায়। নির্বাচন আসলেই তিনি সাহায্য সহযোগিতা করেন, নির্বাচন শেষ ওনার সহযোগিতাও শেষ। দেশে মহামারী করোনা চলাকালীন সময়ে তিনি কোথায় ছিলেন, তখন কেনো সাহায্য সহযোগিতা করলেন না। তাঁর এমনও নজির রয়েছে নির্বাচনের সময় পৌর এলাকা রসুলপুরে বিদ্যুৎতের খুঁটি দিয়েছে কিন্তু নির্বাচনে হেরে গিয়ে সেই বিদ্যুৎতের খুটি তুলে নিয়ে গেছে।