বাঘাইছড়িতে পাহাড়ি ঢলে ৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে জনজীবনে নেমে এসেছে অন্ধকার। সোমবার সকাল থেকে ওইসব এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। নেই মোবাইল নেটওয়ার্ক, জর্জরিত সমস্যায় ওখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা।
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বাঘাইছড়ি উপজেলার নিন্মাঞ্চল গুলোতে পানি উঠেছে। সকাল থেকে বাঘাইছড়ি উপজেলার বারবিন্দু ঘাট, মাষ্টার পাড়া,পশ্চিম মুসলিম ব্লক,উপজেলা সদর,লাইল্যা ঘোনা, এফব্লক,রুপকারি ও পুরাতন মারিশ্যা ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে।
এদিকে টানা পাহাড়ি বৃষ্টিতে বাঘাইছড়ি-দীঘিনালা সড়কের পাহাড় ধস হয়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বাঘাছড়ি থেকে দূর পাল্লার কোন যানবাহন ছেড়ে যায়নি। অপর দিকে বাঘাইছড়ি উপজেলার কোথাও নেটওয়ার্ক নেই। যার কারনে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
সূত্রে জানা যায়,বুধবার সারাদিন এভাবে বৃষ্টি পড়তে থাকলে গোটা বাঘাইছড়ি উপজেলা বন্যায় প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। তবে রাঙামাটি আবহাওয়া অফিস বলছে আরোও ৩-৪দিন ভারী বর্ষণ ও বৃষ্টিপাত হতে পারে। কোথাও কোথাও শিলা বৃষ্টি হতে পারে। তবে বড় ধরনের কোন আশংকা নেই।
স্থানীয়রা জানান, যে ভাবে পাহাড়ি ঢলের পানি আসতে শুরু করছে তাতে গোটা বাঘাইছড়ি উপজেলা তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখনই মানুষের অশান্তির সীমা নাই। জন দুর্ভোগে পড়েছে অসংখ্য মানুষ। গরু ছাগল হাস মুরগি,বৃদ্ধা ও রোগিদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে তারা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ঘুর্ণিঝড় রিমেলকে কেন্দ্র রাঙামাটি জেলায় ২৬৭টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে তার মধ্যে বাঘাইছড়ি উপজেলাতে ৫৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তবে আশ্রয় কেন্দ্রে গুলোতে এখনো কোন লোক উঠেনি।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার জানান, তিনি সকাল থেকে বেশ কিছু এলাকা সরেজমিনে ঘুরে এসেছেন। পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক আছে। তবে ভারী বৃষ্টিপাত হলে নিন্মাঞ্চলের বাড়ি ঘরে পানি উঠেছে পারে। দুর্যোগ মোকাবেলায় ৫৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে বা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী মজুত আছে । আপাতত বাঘাইছড়ির সাথে দূর পাল্লার বাস চলাচল বন্ধ হয়েছে।