জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মো. মুছা মাতব্বরকে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তলব করা হয়েছে। তাকে পরবর্তী ২১ কার্যদিবসের মধ্যে দুদকে হাজির হয়ে নিজের, তার স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে অর্জিত সব সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়েছে। দুদক রাঙামাটি জেলা সমন্বয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. জাহিদ কালাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এসব তথ্যবিবরণী দাখিল করতে বলা হয়।
দুদক রাঙামাটির উপ পরিচালক মো: জাহিদ কামাল জানান, নামে বেনামে জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ আর্জনের অভিযোগে মুছা মাতব্বরের নিজের, তার স্ত্রী ও তার উপর নির্ভরশীলদের সম্পদের তথ্য আগামী ২১ কার্যদিবসের মধ্যে দুদক অফিসে জমা দিতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক আইনে তার সম্পদের তথ্য চেয়ে তাকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
মো. মুছা মাতব্বর ২০০৮ সালে রাঙামাটি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর ২০১২ ও ২০২২ সালে টানা দুইবার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। পাশাপাশি ২০১৫ ও ২০২০ সালে পরপর দু’দফায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মনোনীত হন জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষপর্যায়ের এ নেতা। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে আয়-বহির্ভূত স্থাবর অস্থাবর প্রচুর সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মো. মুছা মাতব্বর বলেন, হয়তো কেউ অভিযোগ করেছে- তাই দুদক তলব করছে। তাদের কাজ তারা করছে-এটাই আর কি। তাছাড়া দুদক কাকে না ডাকছে, কারও বিষয়ে অভিযোগ পেলে তো তারা তা যাচাই করবে। আমি সরকারকে রাজস্ব দিচ্ছি। আমাকে আমার সম্পদের হিসাব চেয় তথ্যবিবরণী দিতে বলেছে। এছাড়া অন্য কিছুই তো নেই।