রাঙামাটি জেলার বৃহত্তর বাঘাইছড়ি উপজেলা ও পৌরসভাসহ সরকারি ভবনগুলোকে অধিক বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবনের কবল থেকে রক্ষায় উপজেলাস্থ কাচালং নদীর দুই পাড়ে বেশ কিছু স্থানে বেঁড়িবাধ নির্মাণ করা জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভবিষ্যতে এই সমস্যা আরো প্রকট আকার ধারন করতে পারে। কারন দীর্ঘ যুগ পরেও কাচালং নদীর খনন করা হয়নি। ফলে নাব্যতা কমে গেছে কাপ্তাই হ্রদ বিশেষ কাঁচালং নদীর। অধিক বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্রতি বছরেই এক বা একাধিকবার উপজেলা ও পৌরসভার নিম্নাঞ্চল সমূহ পানিতে তলিয়ে, আনুমানিক ১০ হাজার মানুষ পানি বন্দী ও প্রায় ২ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে হয় এবং সহশ্রাধিক হেক্টর ফসলী জমির ক্ষতি সাধিত হয়।
এসমস্যা উপজেলা সদরের সরকারি ভবনগুলোও বাদ পড়ে না। এতে সাধারণ মানুষের ক্ষয়-ক্ষতি পোষাতে সরকারি সহায়তা প্রদানে আর্থিক ক্ষতির পাশা-পাশি সাধারণ মানুষ তথা পানিবন্দীও আশ্রিতদেরসহ কৃষকদের চরম দূর্ভোগ ও আর্থিক ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ কোন অংশে কম নয় । বন্যায় উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে উপজেলা সদরে প্রশাসনিক ভবনসহ অন্যান্য দপ্তরের ভবন এই পানি বন্দীর আওতায় পড়ে। ফলে ঐ মূহুর্তে সব অফিস বন্ধ রাখতে হয়।
বেঁড়িবাধ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের পদক্ষেপ না নেওয়া হলে, সদরে অবস্হিত সরকারি ভবনসহ উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে বন্যায় ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে কয়েক কোটি টাকা। বেঁড়িবাঁধ প্রকল্প নির্মাণ ব্যয়ের চেয়েও ৩-৪ গুণ বেশী। এব্যাপারে স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকে বেড়িঁবাধ নির্মাণের দাবি তুলেন।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলা সদরে সরকারি ভবন, পৌরসভার ওয়ার্ড সমূহ, উপজেলার বঙ্গলতলী, রুপকারী, মারিশ্যা, বাঘাইছড়ি ও খেদারমারা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে জরুরী ভিত্তিতে ছোট- বড় বেঁড়িবাধ নির্মাণ করে বাঘাইছড়ি উপজেলা ও পৌরসভাকে বন্যার কবল হতে রক্ষা করা জরুরী হয়ে পড়েছে।
বিষয়টি সদয় বিবেচনা পূর্বক বাঘাইছড়ি উপজেলা ও পৌরসভাসহ সরকারি ভবনগুলো রক্ষায় বাঘাইছড়িতে জরুরী ভিত্তিতে বেঁড়িবাধ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন বাঘাইছড়ি উপজেলার সচেতন মহল।