বৃক্ষ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাঙামাটিতে বৃক্ষরোপন অভিযানের উদ্ধোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তথা পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি। আজ ‘আইলাভ রাঙামাটি’ পর্যটক সড়কের দু’পাশে ১৭শ’ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হবে। বৃক্ষরোপন আয়োজনে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সমন্বিত জেলা কার্যালয় ও বন বিভাগ রাঙামাটি অঞ্চল।
প্রধান অতিথি বলেন, আমি জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ ও বন বিভাগ মিলে একটি সভা করেছি। ওই সভায় আলোচনা করা হয়েছে রাঙামাটির গুরুত্বপূর্ণ স্থান কোন কোন জায়গায় কোন কোন ধরনের গাছ লাগানো যায়। আজ আমরা আসামবস্তী-কাপ্তাই সড়কের দু’পাশে যে সকল গাছ রোপন করেছি এই গাছগুলোতে এখানকার লোকজন যদি প্রতিদিন পানি দেয় তাহলে বুঝবো তারা গাছকে ভাল বাসে। গাছ মানুষের সাথে কখনো বেইমানী করেনা।
দুদক উপ পরিচালক জাহিদ কালাম এর সভাপতিতে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সোহেল আহমেদ, লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ আল মামুন, সদর জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল এরশাদ হোসেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বিপিএম বার, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড.জাহিদুর রহমান, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ শফিসহ আরো অনেকে।
বক্তারা বলেন, কোন ধরনের সমস্যা যেন না হয় সে দিকে নজর দিতে বিদ্যুৎ বিভাগকে সর্তক করে দেন তিনি। আরো বলেন ৫৮.১৫ শতাংশ বনভূমি আরো বেশি থাকার কথা। পৃথিবী শুধু মানুষের জন্য নহে সাথে অন্যান্য প্রাণিরও বসবাস থাকতে হবে। পরবর্তী প্রজন্মেও গাছ লাগালো শিখাতে হবে। গাছ হলো মানুষের পরম বন্ধু। মরার পরে গাছ মানুষের উপকারে আসে। তিনি বলেন, আমি যে গাছ লাগাবো সে গাছের যত্ন আমি নিজেই নেব। গাছ লাগালে গাছের যত্ন ও নিতে হবে। বিদ্যুৎ বিভাগের কারনে জনজীবনে কোন ধরনের সমস্যা যেন না হয় সে দিকে নজর দিতে বিদ্যুৎ বিভাগকে সর্তক করে দেন তিনি।কোন ধরনের সমস্যা যেন না হয় সে দিকে নজর দিতে বিদ্যুৎ জলবায়ু পরিবর্তনে আমাদেরকে অনেক গাছ লাগাতে হবে। টেনশন জায়গায়টাকে কিভাবে আমরা গাছ লাগাবো এটাই জল্পনা কল্পনা হওয়া দরকার। যেহেতু এটা টুরিজম এলাকা তাই এখানে গাছ লাগানো ফরজ হয়ে পড়েছে। জ্বালাময় পরিবেশ বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে নিরসন করতে পারি।