রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নতুন চেয়ারম্যান প্রথম কর্মদিনেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের তোপের মুখে পড়েছে। রোববার সকাল ১০ টায় একটি অটোরিকশা নিয়ে জেলা পরিষদে প্রবেশ করেন নতুন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাগল তালুকদার। জেলা পরিষদে প্রবেশ করে তিনি নতুন সদস্য-সদস্যরাসহ পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের নিয়ে মতবিনিময় সভা শেষ করে রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষ করে বেলা ১২টার দিকে পরিষদে প্রবেকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠন গেইট বন্ধ করে রেখে দেয়। এসময় চেয়ারম্যানের গাড়ি প্রবেশ করতে না পারায় পায়ে হেটে পরিষদে যান নতুন চেয়ারম্যান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠন জেলা পরিষদ গেইটের সামনে প্রায় ঘন্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে নতুন পরিষদের প্রঞ্জাপন বাতিল’র আলাপ-আলোচনা করার জন্য ২৪ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন। আন্দোলনকারীরা এই প্রঞ্জাপন বাতিল করে বাদ পড়ে যাওয়া ৪ উপজেলাসহ মেধাবি, সৎ যোগ্য নিরপক্ষ সদস্য নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান।
নবগঠিত রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে নিয়োগ পাওয়া বিতর্কিত সদস্যদের অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসুচি করেছে রাঙামাটি জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। রবিবার বেলা ১১টার দিকে জেলা পরিষদের প্রধান গেইট বন্ধ করে দিয়ে তারা ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসুচি পালন করে। পরে পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসে তারা কর্মসুচি স্থগিত করেন। অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের পুনঃগঠিত রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সদস্যদের ভিতরে রেখে গেইট বন্ধ করে দিয়েছে রাঙামাটি জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠন নেতারা।
এসময় তারা বলেন, আওয়ামী লীগের ঘরোয়া লোকজন, বিগত সরকারের সময় সুবিধাপ্রাপ্ত ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের আন্দোলনে বিরোধীতাকারী লোকজন সদ্য গঠিত জেলা পরিষদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গত ৫ আগস্ট খুনির দোসরদের এসব পদে বসানো শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানি করা ছাড়া আর কিছুই নয়।
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতা রাকিব,মোঃ সাজিদ হোসেন,মোস্তফা কামাল রাজু,আবু আবরার আলভি, তুহিন হাসান, ইমাম হাসান, সাইদা ইসলামও তানভি আক্তারসহ আরো অনেকে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতারা অভিযোগ করে বলেন, জেলা পরিষদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের মতামত নেয়া হয়নি। পার্বত্য উপদেষ্টার এ হেন বৈষম্যমূলক আচরণ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠন মেনে নিবে না। তারা রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে নিয়োগ পাওয়া বিতর্কিত ব্যক্তিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে অপসারণের দাবি জানান। দাবি মানা না হলে সকল সম্প্রসায়কে নিয়ে পাহাড়ে বৃহত্তর কর্মসুচি ঘোষণা করা হবে। এসময় রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল) মোঃ সাইফুল ইসলাম পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার সাথে কথা বলে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বৈঠক করে দেওয়ার আশ্বাসে অবস্থান কর্মসুচি স্থগিত করেন।