রাঙামাটি সরকারি কলেজ শাখায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ১৯ (ঊনিশ) সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি আগামী ৬ (ছয়) মাসের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই কমিটি শিক্ষার্থীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণ, এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করবে।
বুধবার সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত বাংলদেশে ছাত্র অধিকার পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলা শাখার আহ্বায়ক ওয়াহিদুজ্জামান রোমান ও সদস্য সচিব হাসান হাবীব স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ৬ মাসের জন্য এই কমিটি অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
নবগঠিত কমিটির সদস্য ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা:
আহ্বায়ক: ভাস্কর পাল
সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক: আল আমীন ইসলাম আবির
যুগ্ম আহ্বায়ক:
– জিকেল চাকমা
– মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন
– মোহাম্মদ খলিলুর রহমান
– সাদিয়া আক্তার
সদস্য সচিব:রবিউল আউয়াল
যুগ্ম সদস্য সচিব:
– কাজী তাহিম ইকবাল
– সুশান্ত চাকমা
– মোঃ তানভির হোসেন
– মোহাম্মদ নওশাদ
– মোঃ সোহেল
– ইমতিয়াজ আহমেদ
– মিজানুর রহমান
সদস্য:
– মোহাম্মদ ছালিম
– তানিয়া আক্তার
– মোঃ আমিনুল ইসলাম শামীম
– মনির আদনান
– জান্নাতুল ফেরদৌস
আহ্বায়ক ভাস্কর পাল বলেন, “আমরা এই কমিটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করব। শিক্ষার পরিবেশ উন্নত করতে এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে এই কমিটি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ছাত্র রাজনীতি কখনই ব্যক্তি স্বার্থ নয়, বরং এটি সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার একটি শক্তিশালী মাধ্যম। আমরা রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজের প্রতিটি শিক্ষার্থীর পাশে থাকব।”
সদস্য সচিব রবিউল আউয়াল বলেন, “আমাদের লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রচার। এই কমিটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে, যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের মতামত ও সমস্যা সহজেই উপস্থাপন করতে পারবে। আমরা আশা করি, এই কমিটি রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছে একটি আস্থার জায়গা হয়ে উঠবে।”
ছাত্র রাজনীতি একটি সমাজ গঠনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। এটি নেতৃত্ব বিকাশের ক্ষেত্র তৈরি করে এবং শিক্ষার্থীদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ও রাজনৈতিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে। সঠিক দিকনির্দেশনা ও নেতৃত্বের মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতি জাতীয় উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজ শাখা, শিক্ষার্থীদের অধিকার ও কল্যাণে কাজ করার পাশাপাশি সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ২০১৮ সালে **কোটা সংস্কার আন্দোলনের** মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও তরুণ সমাজ এই আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নেতৃত্ব দেয়। নুরুল হক নুর, রাশেদ খান, হাসান আল মামুনসহ বেশ কয়েকজন সাহসী ছাত্রনেতা এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাফল্যের পর, এর নেতারা একটি স্বতন্ত্র ছাত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। ২০১৯ সালে তারা **বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ** থেকে একটি নতুন সংগঠন গঠন করেন, যা পরিচিত হয় **বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ** নামে।
এই সংগঠনের অন্যতম সফল আন্দোলন সমুহ–
১. কোটা সংস্কার আন্দোলন (২০১৮)
২. নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে অংশগ্রহণ (২০১৮)
৩. ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী আন্দোলন (২০১৯)
৪. স্বৈরাচারবিরোধী অবস্থান
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ একটি সতন্ত্র ছাত্র সংগঠন। বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ছাত্র রাজনীতিতে একটি নতুন ধারা সৃষ্টি করেছে। তারা বৈষম্যহীন সমাজ গঠন এবং গণতান্ত্রিক নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে। সংগ্রাম ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেও সংগঠনটি ছাত্রসমাজের আস্থা অর্জনে সফল হয়েছে।