রাঙামাটি নানিয়ারচরে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন নুরুল আলম গাজী হত্যাকান্ডের ১৮ বছর পরে মামলার এক নম্বর আসামী নিখিল নাথ (৫৮) গ্রেফতার হয়েছেন। দেশজুড়ে আলোচিত ওই হত্যা মামলায় পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন প্রসিতখীসার ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট- ইউপিডিএফ’র ৯ জনকে আসামী করা হয়। তবে দীর্ঘ দেড় যুগের মধ্যে এই প্রথম এক আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হল পুলিশ।
আজ (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নানিয়ারচর হাসপাতাল পাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করে নানিয়ারচর থানা পুলিশ। অভিযানে নেতৃত্ব দেন থানার ওসি মোহাম্মদ নাজির আলম।
২০০৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ টার দিকে সেনাবাহিনীর টহল দলের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে দায়িত্বরত সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন নুরুল আলম গাজী নিহত হন।
এ ঘটনায় ২৪ ই বেঙ্গল রেজিমেন্ট নানিয়ারচর জোনের সার্জেন মো. শহীদুল ইসলাম বাদি হয়ে ৯ জনকে আসামী করে নানিয়ারচর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ০১, তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০০৬, ধারা -৩০২/৩৪ দন্ড বিধি।
ঘটনাস্হল নানিয়ারচর উপজেলা ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের মাইসছড়ি পাড়ার জুরাছড়ি পাহাড়ের ওপর। মূলত সেনা টহল দলকে টার্গেট করে এই হত্যাকান্ড চালায় অস্ত্রধারীরা। এলাকাটি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরত্বে দক্ষিণ পশ্চিম দিকে। ওই হত্যা মামলায় ১ নম্বর আসামী করা হয়েছে নানিয়ারচর উপর বাজার এলাকার বাসিন্দা মনিন্দ্রনাথের ছেলে নিখিল নাথকে (৫৮)। মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকেই আত্নগোপনে চলে যান নিখিল নাথ। ফলে দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
তবে সেনা ক্যাপ্টেন গাজী হত্যাকান্ডে জড়িত ৯ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়ে প্রসিত খীসার ইউপিডিএফ’র নেতাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নানিয়ারচর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নাজির আলম বলেন- গ্রেফতার হওয়া নিখিল নাথ আলোচিত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন নুরুল আলম গাজী হত্যা মামলার এক নম্বর আসামী। তার বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। সেই পরোয়ানায় দীর্ঘ ১৮ বছর পরে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ওই হত্যা মামলায় আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফের ৯ জনকে আসামী করা হয়েছে। অন্য আসামীদেরও গ্রেফতারে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।