পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি-জেএসএস’র সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার বলেছেন-‘পাক-ভারত দেশ ভাগের নীতিমালা মেনেই পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ ভারতের সাথে অন্তর্ভুক্ত হতে চেয়েছিল। ভারতের পতাকা রাঙামাটিতে উত্তোলন করেছিল। আর বান্দরবানে বার্মার পতাকা উতেলন করা হয়েছিল। পতাকা উত্তোলনের অপরাধে কাপ্তাই বাঁধ দেয়া হয়। আমাদের মন মান ছিল না বলেছিলাম। তাই বলে আমাদের ওপর এই আঘাত, মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়া হয়েছিল। যার ফলে আন্দোলনের সুত্রপাত’।
আজ (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাঙামাটি জিমনেসিয়াম মাঠে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি-জেএসএস’র ৫৩ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত গণসমাবেশ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ঊষাতন তালুকদার বলেন- ‘আমাদের শত্রু ভাবা হচ্ছে। আমাদের জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে। উচ্ছেদ করা হচ্ছে। বিতারণ করা হবে। এই অবস্থায় ভবিষ্যৎ অন্ধকার। তাই জনসংহতি সমিতি সৃষ্টি ও আন্দোলন বর্তমান পর্যন্ত চলমান’।
ঊষাতন তালুকদার আরও বলেন -‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি হয়েছে। কিন্তু চুক্তি করে বেইমানী করা হচ্ছে। প্রতারণা করা হয়েছে। এ অবস্থাতে অনিশ্চিত অবস্থা। ১৯৭১ সালে স্বাধীন হয়েছে দেশ। সেই থেকে পার্বত্য এলাকায় জরুরি অবস্থা চলছে। সামরিক শাসন, অপারেশন দাবানলের পর অপারেশন উত্তরণ থেকে এখনও আমরা উত্তরণ হতে পারনি নাই। এখনও অনিশ্চিত জীবন, রুদ্ধশ্বাস নিয়ে আমাদের চলতে হচ্ছে’।
গনসমাবেশে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি-জেএসএস’র সদস্য সাধুরাম ত্রিপুরা, কেএসমং মারমা, গুনেন্দু বিকাশ চাকমা, আদিবাসী ফোরামের পার্বত্যাঞ্চল সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা, সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ভবতোষ দেওয়ান ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি শান্তিদেবী তঞ্চঙ্গা।
এরআগে সকাল দশটায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন উড়িয়ে বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ঊষাতন তালুকু। পরে গিরি সুর শিল্পী গোষ্ঠীর পরিবেশনায় গণসঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। গণসমাবেশে জেএসএস’র জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা অংশ নেন।