প্রবাস জীবনের এক বছর পর বুধবার রাতে মো: শহিদুল ইসলাম শহিদ (৪২) এসেছেন নিজ বাড়িতে। তবে জীবিত নয়, কফিনে মোড়ানো লাশ হয়ে। হাসির বদলে পাহাড় পরিমাণ শোকে কাতরাচ্ছেন তার পরিবার। পরিবারের সুখের জন্য সৌদিআরব পাড়ি জমিয়েছিলেন দরিদ্র পরিবারের ছোট ছেলে শহিদ। সেই সুখ ভাগ্যে জোটেনি তার। মা, স্ত্রী সন্তানের সঙ্গে শেষ দেখাটাও করে যেতে পারেননি। মৃত্যুর ২৫দিন পর বাড়ি ফিরলো কপিনে মোড়ানো তার মরদেহ।
শহিদুল ইসলাম রামগড় উপজেলার দক্ষিণ সদুকার্বারীপাড়া এলাকার হাফিজুর রহমানের ছোট ছেলে। বুধবার রাতে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তার মরদেহ গ্রহন করেন স্বজনরা। বৃহস্পতিবার সকালে বলিটিলা জামে মসজিদ প্রঙ্গনে জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
পারিবারিক ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, পরিবারে ভাইবোনদের মধ্যে সবার ছোট শহিদ। পরিবারে সবাই এখন যারযারমত আলাদা। মা, স্ত্রী সন্তানসহ ৬ সদস্যের পরিবার প্রভাসী শহিদুল উপার্যনেই চলতো। বিয়ের পর পরিবারের কষ্ট দূর করতে কয়েকবছর ওমানে কাটিয়ে বাড়ি এসে এক বছর আগে পাড়ি জমায় সৌদিআরবে । সেখানে একটি কোম্পানিতে শ্রমিক পদে চাকরি পায়। ইতিমধ্যে দুই মেয়ে এক ছেলে সন্তানের জনক হন।
গত ২ ফেব্রুয়ারী সোমবার সৌরআরবের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এরআগের দিন সন্ধ্যায় ডায়বেটিস ও পেটের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়। এদিকে মৃত্যুর ২৫দিন পর শহিদুলের মরদেহ বাড়ি এলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। কপিন গিরে মুহূর্তে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মূর্ছা যাচ্ছেন শহিদুলের মা, স্ত্রী-সন্তানসহ স্বজনরা।