রাঙামাটিতে দাদুর লালসায় যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ৩ বছর বয়সী এক মেয়ে শিশু। সোমবার সকালে শহরের ভেদভেদী এলাকার মৌনতলা নামক পাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটে। পরে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে এদিন রাতে রাঙামাটি সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে শিশুটি চিকিৎসাধীন। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
এদিকে ঘটনার জানাজানি হলে শিশুটির দাদু সুবাস কুমার চাকমা (৬০) ওরফে জাগুলুক্যা ঘর থেকে পালিয়ে গেছেন বলে জানায় ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবার। ভুক্তভোগী শিশুর মা বলেন,ঘটনার আগের রাতে মেয়েটি তার দাদু এবং দাদির সঙ্গে তাদের ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। পরদিন (সোমবার) সকালে তার দাদি আমার মেয়ে ও তার দাদুকে বিছানায় রেখে কাজে বের হলে পরে মেয়েটি চিৎকার করে কান্না করতে থাকে। মেয়ের কান্না শুনতে পেয়ে আমি দৌঁড়ে গেলে মেয়েটি বিছানা থেকে ওঠে এসে বলে, তার দাদু যৌনাঙ্গে আঙুল ঢুকিয়ে দিয়েছে। আমি এর প্রতিবাদ করলে আমার সঙ্গেও খারাপ ভাষা ব্যবহার করেন শ^শুর। পরে তিনি পালিয়ে গেছেন। মেয়েটির শারীরিক অবস্থার খুব খারাপ হলে রাতে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করিয়েছি।
ভুক্তোভোগীর মা আরো বলেন,আমার শ্বশুর খুব খারাপ ও অসভ্য লোক। সব সময় মদ্যপ হয়ে আমার সঙ্গে অশালীন ভাষা ব্যবহার করেন। এ ঘটনায় আমি শ্বশুরের ন্যায়বিচার চাই। কিন্তু আমার স্বামী তার বাবার বিরুদ্ধে মামলা করতে চায় না। চিকিৎসকরা বলেন,শিশুটির যৌনাঙ্গে মারাত্মক ক্ষত হয়েছে। প্রাথমিক পরীক্ষা অনুযায়ী শিশুটির লজ্জাস্থানে আঙুল দিয়ে নিপীড়নের তথ্য পাওয়া গেছে।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা.শওকত আকবর খান বলেন, যৌন নিপীড়নের শিকার শিশুটিকে ভর্তির পর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালের নারী-শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ সেলের প্রোগ্রাম অফিসার মো. এমদাদ উল্লাহ বলেন,ঘটনাটি পুলিশে জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশি মামলা হবে। মামলার জন্য ভুক্তভোগী শিশুটির প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ওসি মো. সাহেদ উদ্দিন বলেন, বিষয়টি পুলিশ অবগত হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হবে। অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।