বিয়ের জন্য চাপ ও ধারের টাকা ফেরত চাওয়ায় ‘বিয়ের আশ্বাসে’ প্রেমিকাকে খুলনা থেকে ১ এপ্রিল রাঙামাটিতে নিয়ে আসেন জামাল হোসেন মোল্লা(৪২)। নেন ঘর ভাড়াও। পরদিন দুপুরে দই ও জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ও পায়ের রগ কেটে প্রেমিকাকে খুন করে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যান জামাল।
পরে খুন হওয়া খাদিজা আক্তারের (৪২) অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করলেও খুনীকে সনাক্তে বিপাকে পড়ে পুলিশ। তবে প্রযুক্তির সহায়তায় অবশেষে খুলনার লবনচরা থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত জামালকে। খুনির সর্বোচ্চ সাজার দাবি স্হানীয়দের।
আজ (সোমবার, ৭ এপ্রিল) দুপুর ২টায় কোতয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটিও উদ্ধার করেছে।
গত ৫ এপ্রিল রাতে স্থানীয়দের সহায়তায় শহরের রিজার্ভ বাজার এলাকার মহসিন কলোনীর একটি বাসার তালা ভেঙে অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় প্রেমিক জামালকে ৬ এপ্রিল খুলনার লবনচরা থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।হত্যাকান্ডের শিকার খাদিজা বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ থানার পুটিখালী গ্রামে বাসিন্দা।
জামাল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, খাদিজার সঙ্গে জামালের দীর্ঘ ১০ বছরের পরিচয়। খাদিজা তার হোটেলে কাজ করতেন। ৩ বছর আগে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জামাল তার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা ধার নেন। সম্প্রতি খাদিজা বিয়ের জন্য চাপ ও টাকা ফেরত চাইলে জামাল তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
পরবর্তীতে ১ মার্চ জামাল খাদিজাকে নিয়ে রাঙামাটিতে আসেন এবং মহসিন কলোনির ওই কক্ষ ভাড়া নেন। ২ এপ্রিল দুপুরে দই ও জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করেন জামাল। হত্যার পর কক্ষটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যান তিনি।
কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ, মো. সাহেদ উদ্দিন বলেন-আমরা রিজার্ভ বাজারের ওই বাসা থেকে পচাগলা অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধার করে প্রযুক্তির সহায়তায় পরিচয় সনাক্ত করি। পরে ক্লুলেস ওই হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয়েছি। আসামি জামালকে গ্রেফতার করে ঘটনাস্থলের কাছেই হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। আসামি খুনের দায় স্বীকার করে হত্যাকান্ডের বর্ণনাও দিয়েছে।