বৃহস্পতিবার , ২৩ মে ২০২৪ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

তৃতীয় ধাপে বাঘাইছড়ি, লংগদু ও নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাচন ২৯ মে

প্রতিবেদক
এম কামাল উদ্দিন, রাঙামাটি
মে ২৩, ২০২৪ ১০:৫৭ অপরাহ্ণ

৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে জেলার বাঘাইছড়ি, লংগদু ও নানিয়ারচন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৯মে ২০২৪। নির্বাচনকে ঘিরে ইতি মধ্যে পাহাড়ে শুরু হয়েছে হত্যা,গোলাগুলি ও দলীয় লোকজনের মধ্যে দলাদলি এবং কাদা ছুড়াছুড়ি। নির্বাচনকে ঘিরে ভোট নিয়ে শুরু হয়েছে পক্ষ-বিপক্ষে নানান গুজব ও গুঞ্জন। তৃতীয় ধাপে রাঙামাটি জেলায় শেষ হচ্ছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। প্রথম ধাপের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২টি সিট এবং আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিও পেয়েছে ২টি সিট। রাঙামাটি সদর জেএসএস এবং বরকল উপজেলায় জেএসএস। কাউখালী আওয়ামী লীগ এবং জুরাছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগ। দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-২ও জেএসএস-১।অর্থাৎ কাপ্তাই আওয়ামী লীগ,রাজস্থলী আওয়ামী লীগ এবং বিলাইছড়ি জেএসএস বিজয়ী হয়েছেন।

এবার সেন্টাল আওয়ামী লীগ থেকে কাউকে দলীয় মনোনয়ন বা নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়নি। যার কারনে উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর সংখ্যা বেশী। তবে কিছু কিছু জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা উপজেলা নির্বাচনে পক্ষ নিয়েছে। বিভিন্ন সভা সমাবেশে গিয়ে সরাসরি প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইছেন। সরকার দলের প্রধান শেখ হাসিনা ও দলীয় সেকেন্ড ইন কমান্ড সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবাইদুল কাদের সরাসরি বলে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী,এমপি এবং জেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতারা উপজেলা নির্বাচনে কারও পক্ষ নিতে পারবে না। কিন্তু দেখা গেছে কেন্দ্রীয় হাই কমান্ডাও মানছে না স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।

এদিকে লংগদু উপজেলা নির্বাচন ঘিরে চলছে পক্ষ-বিপক্ষ নির্বাচনী আমেজ।গোটা উপজেলা সরগরম বিরাজ করছে নির্বাচনী হাওয়া। চায়ের দোকান হতে শুরু করে হাট-বাজার ও মাঠে-ঘাটে নির্বাচনী আলাপ আলোচনা। ভোটারা কেউ বলছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাশ বাবুকে ভোট দেবে।আবার কেউ কেউ বলছে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যানও সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারেক সরকারকে ভোট দেব। তবে লংগদু উপজেলার সাধারণ ভোটারদের জরিপে দেখা গেছে, আব্দুল বারেক সরকার ভোট যুদ্ধে এগিয়ে আছে। আবার স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ বলছে বাবুল দাশ বাবুও ভোটের মাঠ কাপিয়ে তুলছে। আবার ৩প্রার্থীর মধ্যে কালাপাকুর্জ্যা মৌজার হেডম্যান,বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মীর সিরাজুল ইসলাম ঝন্টুও চেয়ারম্যান পদে ভোটের মাঠে যথেষ্ট আলোচনায় আছেন। তবে ভোটারদের ধারনা অল্প ভোটের ব্যবধানে বারেক সরকার ও বাবুল দাশ বাবুর মধ্যে লড়াই হবে।

চেয়ারম্যান প্রার্থী বারেক সরকার মুঠোফোনে বলেন,আমার প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল দাশ বাবু যদি পেশি শক্তি এবং প্রশাসনকে ব্যবহার না করে তাহলে আমি বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হবো। এখন থেকে বাবু আমার বিরুদ্ধে যে ভাবে লেগেছে তাতে আমি ও আমার ভোটারা আশংকা প্রকাশ করছি। প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকলে আল্লাহর উপর ভরসা করে বলছি আমি শতভাগ জিতবই। জনগণ আমাকে ভালবেসে ভোট দেবে। আমার বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। জনগণ বিগত দিনে আমার পাশে ছিল, বর্তমানেও আমার পাশে আছে। হুমকি ধমকি দিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়া যায়না। আর টাকা ও ধন সম্পদ ছিটিয়েও জনগণের মন কেড়ে নেওয়া যায়না।

প্রার্থী বাবুল দাশ বাবু বলেন,আমি ছাত্র রাজনীতি করে আজ হাটি-হাটি পা-পা করে আজ এতটুকুতে আসছে পেরেছি জনগণের ভাল ও দোয়া নিয়ে। বাবুল দাশ বাবু লংগদুবাসীকে অনেক ভালবাসেন। সকল বিপদ আপদ ও এলাকার উন্নয়নে আমি বাবুল দাশ বাবুর ভূমিকা অপরিসীম। জনগণের বিপদ আপদে আমি সর্বদা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই। আমি উপজেলা চেয়ারম্যান হলে মানুষের বিপদ আপদে ঝাপিয়ে পড়বো। উপজেলার উন্নয়ন করা হবে। প্রতিটি নাগরিক তাদের নিজ নিজ নাগরিক সুবিধা পাবে।

লংগদু ও বাঘাইছড়ি ভোটারা বলছে, নির্বাচন আগামী ২৯ মে এখন থেকে যে পরিস্থিতি শুরু হয়েছে জানিনা আমরা ভোট কেন্দ্রে যেতে পারি কি না। যদিও নৌকা প্রতীক নাই তার পরও পক্ষ বিপক্ষ চরম উত্তের্জনা বিরাজ করছে। লংগদুতে ৪ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে শক্ত অবস্থানে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাশ বাবু ও সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি,বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকার। দু’জনেই জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।

অপরদিকে বাঘাইছড়িতে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এবং জেএসএস সংস্কার নেতা সুদর্শন চাকমা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অলিভ চাকমা প্রতিদ্বদ্ধীতা করছেন। ভোটারা বলছেন দু’জনের অবস্থানই ভাল। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ ভাগ্য নির্ধারন করবে আগামী ২৯মে। দু’জনেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোঃ মোশারফ হোসেন খান ও পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বিপিএম বার বলেন, সুষ্ঠু,অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।এই নির্বাচনে কোন কেন্দ্রে জাল ভোট ,কেন্দ্র দখল এবং নূন্যতম কোন ধরনের ঝামেলা হলে সাথে সাথে ওই কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে। নির্বাচনে যারা দায়িত্ব পালন করেন তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার অভিযোগ পাওয়া গেছে সাথে সাথে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচনে কাউকে চুল পরিমান ছাড় দেওয়া হবেনা। নির্বাচনে অসংখ্য পুলিশ, বিজিবি, আনসার, ভিডিপি ও র‌্যাব মোতায়ন করা হবে। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হবে প্রত্যেকটি কেন্দ্র।

 

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

%d bloggers like this: