রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলায় ১ নং বিলাইছড়ি ইউনিয়নে ৯ নং ওয়ার্ডে, ১৩১ নং বল্লাল ছড়া মৌজায় দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে জীবন যুদ্ধের সঙ্গে লড়াই করেছেন তিনকুনিয়া গ্রামের এক বয়স্ক/ বৃদ্ধা মহিলা দয়াবতী তঞ্চঙ্গ্যা। চলার পথে উপজেলা প্রশাসনসহ সকল প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। সরাসরি তার নিজ বাড়ীতে তার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, ২৫ বছর আগে স্বামী নজু তঞ্চঙ্গ্যা জটিল রোগে মারা যান। এছাড়াও নিঃসন্তান হওয়ায় দেখার কেউই নেই। নিজের কোনো জায়গা-জমি নেই। পরের জায়গায় রয়েছি।কুঁড়ে ঘরটাও সমাজে তৈরি করে দিয়েছে। নেই কোনো ভাই- বোনও। আশ্রয়- প্রশ্রয়েও কেউ নেই। দিন দিন অক্ষম হচ্ছি। আপদে- বিপদে, সুখে- দুঃখে তরুণ হেডম্যান ছাড়া দেখার তেমন কেউ নেই । বিগত সময়েও একটা আশ্রয়নের ঘর জুটলো না। কাজ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছি। সামান্যটুকু বয়স্কভাতা দিয়ে কি হবে। এজন্য ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন এবং কোনো দাতাগোষ্ঠী যদি একটু ফিরে দেখতো তাহলে বেশি উপকার হতো। জন্ম ১৯৫৬ হলে প্রায় ৭০ বছর।
তার বিষয়ে ১৩১ নং বল্লালছড়া মৌজার হেডম্যান তরুণ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা জানান, তার নিজস্ব একবিন্দুও জায়গা-জমি নেই। আমার জায়গায় বসবাস করার জন্য আশ্রয় দিয়েছি। আমি এবং সমাজ ছাড়া দেখার কেউ নেই। কুঁড়ে ঘরে বাসবাস, যেদিন যা পেয়ে থাকে তা দিয়ে সন্তুষ্ট থাকে। বয়স অনেক হয়েছে কাজও করতে পারে না। ভাগ্যতা যেন কেন এমন হলো একমাত্র উপরওয়ালা জানে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাবুল কান্তি চাকমা জানান, এই মূহুর্তে আমাদের করার কিছু নেই, আগে আশ্রয়নে ঘর দিতে পেরেছি, বর্তমানে তা হবে কি হবে না জানি না। ভবিষ্যতে যদি সুযোগ আসে তাহলে দেখব।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি দেওয়ান- এর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, সে বয়স্ক ভাতা পেয়ে থাকে। তাছাড়াও মাঝে মাঝে ত্রাণ সহায়তা পেয়ে থাকে।ঘর নির্মাণে যদি এখন সরকারিভাবে বরাদ্দ থাকত তাহলে চেষ্টা করে দিতাম। আমি তারপরেও প্রশাসনে সঙ্গে আলোচনা করে দেখি। কি করা যায়।