কক্সবাজারের উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের অধিনস্থ নাপিতখালী বনবিটের আওতাধীন অরলতলী এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। এসময় বনবিভাগের জায়গায় অবৈধভাবে নির্মিত পলিথিন ও টিনের গোল ঘর উচ্ছেদ করে অন্তত ৫ একর পরিমাণ বনভূমির জায়গা অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে দখলমুক্ত করা হয়।
বৃহষ্পতিবার (২১ আগষ্ট) দুপুরে ঈদগাঁও উপজেলার নাপিতখালী বনবিটে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
নাপিতখালী বিট কর্মকর্তা জুয়েল চৌধুরীর এ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন ফুলছড়ি রেঞ্জের নাপিতখালী বনবিটের অরলতলীতে বনভূমি দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করেন কতিপয় ভূমিদস্যু সলিম প্রকাশ জুনাইক্ক্যা।
বনবিভাগের জায়গায় অবৈধ বসতি ও স্থাপনা তৈরির সংবাদ পেয়ে কক্সবাজার বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোঃ মারুফ হোসেনের নির্দেশনায় বৃহষ্পতিবার দুপুরে অভিযানে নামে একদল বনকর্মী।
বনবিট কর্মকর্তা জুয়েল চৌধুরীর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে নাপিতখালী বনবিটের এলাকা থেকে গড়ে তোলা পলিথিন ও টিনের গোল ঘর উচ্ছেদ করে গুড়িয়ে দেয়া হয়। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রায় ৫ একর বনভূমির জায়গা অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার করে দখলমুক্ত করা হয়। উচ্ছেদ অভিযানের সময় অবৈধ দখলদারেরা অভিযানের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার কারণে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
বনবিভাগের উচ্ছেদ অভিযানের সময় ফরেস্টার লিটন চন্দ্র সিংহ, এফজি মেঃ মামুন, শাখাওয়াত, মর্যাদা আলী, হেডম্যান শফি আলম, ভিলেজার মোঃ কালু, আবদু শুক্কুরসহ বাগান পাহারা দল সদস্যরা অংশ নেন।
অভিযানের বিষয়ে ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ রাশিক আহসান বলেন, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন ফুলছড়ি রেঞ্জের অধিনস্থ নাপিতখালী বিটের অরলতলীতে বনভূমির জায়গায় একজন ভূমিদস্যু অবৈধ দখলদার হিসেবে পলিথিন ও টিনের গোল ঘর নির্মাণ করে বসতি গড়ে তোলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) নির্দেশনায় বনবিভাগের একদলকর্মী অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে গড়ে তোলা বসতি ও স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়ে দখল উচ্ছেদ করা হয়। অবৈধ দখলদারকে বনবিভাগের জায়গা থেকে উচ্ছেদ করে প্রায় ৫ একর মতো জায়গা বনবিভাগের নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এনিয়ে বনবিভাগের সংশ্লিষ্ট আইনে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।