রাঙামাটি জেলার দুর্গম বিলাইছড়ি উপজেলাধীন কেংরাছড়ি বাজারে হাওলাতি টাকা চাইতে গিয়ে প্রতিপক্ষের মারধরের শিকার হয়েছে মনসুর আলীসহ তার পরিবার।
বুধবার সন্ধ্যায় এঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় রাঙামাটি সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মনসুর আলী(৬৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছ, গত ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে কেংরাছড়ি বাজারস্থ মনসুর আলীর দোকানের সামনে ধারের টাকা নিয়ে পক্ষ বিপক্ষ দুই দলের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ঘটে। এসময় মনসুর আলীর ছেলে জামাল হোসেন প্রতিপক্ষ নাছির, শামীম ও তাহেরের কাছে হাওলাতি টাকা চাইলে তারা একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে জামালকে মারধর করে। এতে প্রতিবাদ করে জামাল হোসেনের পিতা মনসুর আলী। তার পর বৃদ্বা মনসুর আলী ও তার স্ত্রী নুরজাহাকেও মারধর করে নাছির, শামীম ও তাহেরগং।
জামাল হোসেন বলেন, আমি শামীম এর কাছে ঠিকাদারি কাজের ৪০ হাজার টাকা পাওনা ও কাজের জন্য আমার থেকে আরও দশ হাজার টাকা হাওলাত নেয়। ওই টাকাগুলি অনেকদিন যাবত আমাকে ঘুরাঘুরি করতেছে।
আমি হাওলাতি টাকা চাইতে গিয়ে আমাকে ও আমার বৃদ্বা মা বাবাকে বেধম মারধর করেছে নাছিরগংরা। প্রথমে আমার বাবাকে বিলাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাঙামাটি সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। টাকা চাইতে গিয়ে প্রথমে তারা আমাকে মেরেছে এবং আমার বৃদ্বা বাবাকে মেরে নাক ভেঙ্গে দিয়েছে। আমার কাছ থেকে প্রায় ১০ হাজার টাকা হাওলাত নিয়েছে নাছিরগংরা। এখন টাকা চাইতে গিয়ে আমাদেরেক গায়ের তারা রক্ত ঝড়াতে হয়েছে। আমি এই নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার চাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল বলেন, মূলতঃ হাওলাতি টাকা নিয়েই উভয়ের মধ্যে মারামারি বাধে। এ মারামারি ছুটাতে গিয়ে আমিও আঘাত প্রাপ্ত হয়েছি। সংঘঠিত মারমারির এক পর্যায়ে জামালের বাবা নাকের মধ্যে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে গুরুতর অবস্থায় আহত হলে আমি তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে সহায়তা করি।
বিলাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, টাকা দার বা হাওলাত নিয়েছে এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেংরাছড়ি বাজারে দু’ পক্ষের মধ্যে মারামারি বাধে। সরেজমিনে গিয়ে ও তদন্ত করা হয়েছে। শুনেছি চিকিৎসা শেষে তারা আইনি সহায়তা নেবেন।