কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে সকল জনগণকে আইনের আশ্রয় পাওয়ার অধিকার দিয়েছে। জনগণ যেকোনো সময় যেকোন বিষয়ে তাঁর অধিকার আদায়ের জন্য আইনের দারস্থ হতে পারে। আমাদের অনেক মামলা আছে, তাই কিছু কিছু মামলা গ্রাম আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হলে মামলার জট কমে যাবে এবং গ্রাম আদালত আরোও সক্রিয় হবে। সেই ক্ষেত্রে হেডম্যান ও কার্বারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ(২য় পর্যায়) প্রকল্পটি তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের বিভিন্ন বিরোধ নিষ্পত্তিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছে।
তিনি বুধবার (১১ মে) সকাল রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ২ নং রাইখালী ইউনিয়ন এর ৩২১ নং হেডম্যান কার্যালয়ে মৌজার হেডম্যান কার্বারী এবং প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সাথে মতবিনিময় কালে একথা বলেন।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গ্রাউস, আশিকা ও টংগ্যার আয়োজনে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ৩২১ নং রাইখালী মৌজার হেডম্যান উসুয়ে সুয়ে চৌধুরী ( মিশুক) ।
টংগ্যা এনজিও সংস্থার বাংলাদেশের গ্রাম আদালত সক্রিয়করন প্রকল্পের কাপ্তাই উপজেলা কমিউনিটি মবিলাইজার মংচাই মারমার সঞ্চালনায় এইসময় রিসোর্স পারসন হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ১১৯ নং হরিণছড়া ভাইজ্যাতলীর হেডম্যান থোয়াই অং মারমা।
মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য দেন গ্রাউস এর গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ পর্যায় -২ প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী অম্লান চাকমা, কাপ্তাই প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক ঝুলন দত্ত, টংগ্যার থিয়েটার বিশেষজ্ঞ শিপন চাকমা, চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালের কমিউনিটি হেলথ প্রোগাম এর প্রতিনিধি মাসাং মারমা।
মতবিনিময় সভায় রাইখালী হেডম্যান, কার্বারী এবং প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।