বিগত ৩ বছর পুর্বে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার আসামী জিয়াউর রহমান বাপ্পীকে না পেয়ে পিতা শফি আলমকে পিটিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত শফিকে (৫০) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় চকরিয়া থানায় এজহার দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড পুর্ব নয়াপাড়া গ্রামে ঘটে এ ঘটনা। অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের থমতলা গ্রামের ছাবের আহমদের পুত্র শাহজানের কন্যার সাথে একই এলাকার শফি আলমের পুত্র জিয়াউর রহমানের সাথে সম্পর্ক জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় বিগত ২০২২ সালে শাহজানের স্ত্রী কহিনুর বাদী হয়ে জিয়াউর রহমান বাপ্পিকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। ঐ সময় জিয়ার পিতা শফি আলম প্রবাসে ছিলেন। ঐ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে বৈঠক করা হয়েছে। সেখানে বারবার স্বর্ন দাবী করেন শাহজান। বছর দেড়েক পুর্বে শফি দেশে ফেরত আসলে শাহজান তাকে বারবার চাপ প্রয়োগ করেন।
এসময় প্রবাসী শফি ছেলে এলাকায় নেই জানিয়ে আদালতের মাধ্যমে সুরাহা হবে বলে জানায়। এরপর শাহজান বিভিন্ন সময়ে শফিকে মারিবে-কাটিবে মর্মে হুমকি দেয়। তারই জের ধরে গতকাল সোমবার বিকেলে প্রবাসী শফি আলম স্থানীয় আবদু করিমের দোকানে গেলে শাহজান কিছু বুঝে উঠার আগেই মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে গলা চেপে ধরে নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। তার শোরচিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
খুটাখালী প্রবাসী ক্লাবের সদস্য আহত শফি আলম জানায়, তিনবছর পুর্বে আমার ছেলে বাপ্পিকে আসামী করে মামলা করেন শাহজান। ঐ সময় আমি দেশে ছিলাম না। এ মামলার জের ধরে বারবার সে আমাকে নির্যাতন ও হুমকি দিয়ে বেড়াত। সোমবার শাহজানের বাড়ি পাশে দোকানে গেলে আমাকে মারধর করে আহত করে। এ ঘটনায় থানায় এজাহার দায়ের করেছি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, আহত ব্যক্তির লিখিত একখানা এজাহার পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।