মঙ্গলবার , ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ১০ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

পাকুয়াখালী ট্রাজেডি দিবসে ৩৫ কাঠুরিয়া হত্যার বিচার ও পুনর্বাসন দাবি

প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি
সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫ ৪:১৭ অপরাহ্ণ

রাঙামাটির লংগদু উপজেলার ৩৫ কাঠুরিয়া হত্যাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল গণহত্যার বিচার ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। আজ মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) পাকুয়াখালী ট্রাজেডি দিবস উপলক্ষে রাঙামাটি শিল্পকলা একাডেমি হলে আয়োজিত এক শোক সভায় এই দাবি জানানো হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার সহ-সভাপতি কাজি জালোয়ার সভাপতিত্বে শোক সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের রাঙামাটি জেলা সভাপতি মোহাম্মদ সোলায়মান। বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি জেলার সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মোঃ ইব্রাহিম, যুগ্ন সম্পাদক সেলিম উদ্দিন, মোঃ নজরুল ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক ইফতেখার সওকত সহ অন্যান্যরা।

আলোচনায় বক্তারা বলেন স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বসবাসরত নিরীহ বাঙ্গালীদেরকে উপজাতীয় সন্ত্রাসীগোষ্ঠী নির্মমভাবে গণহত্যা চালায়। ১৯৯৬ সালে লংগদু উপজেলার পাকুয়াখালী নামক গহিন স্থানে ৩৫ জন কাঠুরিয়াকে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ হত্যাকান্ডের ২৯ বছর পার হলেও সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরকার পুনর্বাসনের আশ্বাস দিলেও তার উদ্যোগ নেয়নি কোন সরকার। এ গণহত্যার পর এক বছর পার না হতেই তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার খুনের অভিযুক্ত শান্তি বাহিনীর প্রধান সন্তু লারমার সাথে পার্বত্য চুক্তি সম্পাদন করে। শুধুমাত্র পাকুয়াখালী নয় সন্তু লারমার নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে বহু গণহত্যা হয়েছে। কিন্তু কোন সরকার এসব গণহত্যার বিচার ও তদন্ত করেনি। এর ফলে পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচারহীনতার সংস্কৃতি বিদ্যমান রয়েছে। এখনো প্রতিনিয়ত পার্বত্য চট্টগ্রামে চলছে অপহরণ চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা। এসব ঘটনা নিয়ন্ত্রণ সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে পাহাড় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সাঁড়াশি অভিযানের দাবি জান বক্তারা।

বক্তরা বলেন, একটি মহল নতুন করে আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি তুলে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। এর মূলে রয়েছে বিদেশি ষড়যন্ত্র।একইসাথে পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল বৈষম্য নিরসন ও এ অঞ্চলকে নিয়ে ষড়যন্ত্রকারী মহলের বিরুদ্ধে সরকারকে ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানানো হয়।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: