ভারত থেকে চোরাই পথে অবৈধ ভাবে ভারতীয় সিগারেট দেশে ঢুকছে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়। মারিশ্যা হতে সারোয়াতলী সিজক মুখ হয়ে দুরছড়ি পাবলাখালী এলাকার মধ্য দিয়ে দীঘিনালা ও খাগড়াছড়িতে ভারতীয় অবৈধ সিগারেটের চোরাচালান যায় বলে তথ্য পাওয়া যায়।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে লংগদু জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল মীর মোর্শেদ, এসপিপি,পিএসসি এর নির্দেশনায়, সাব জোন কমান্ডার মেজর রিফাত উদ্দিন আহমেদ লিওন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার প্রিয়মল এর নেতৃত্বে, একটি বিশেষ অপারেশন দল নিয়ে গতকার সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় সারোয়াতলী সিজকমুখ এলাকায় পৌঁছেন সেনাবাহিনী।
উক্ত টহল দলটি সারোয়াতলী সিজকমুখ এলাকায় গোপনে ফাঁদ পেতে অবস্থান নিয়ে থাকে।দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় সন্দেহভাজন একটি ছোট নৌকা সিজকমুখ এলাকা হতে ৭০০-৮০০ গজ দুরে, নদীর ঘাটে ভীরতে দেখা গেলে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। টহল কমান্ডার নৌকাটিকে গোপনে আটকানোর চেষ্টা করলে চোরাকারবারী দল সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে রাতের অন্ধকারে নৌকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে নদীর ঘাটে তল্লাশি করে নদীর চরের মাঝখান হতে বস্তা বন্দী অবস্থায় বিপুল পরিমাণ ভারতীয় সিগারেট জব্দ করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লংগদু জোন।
বিশ্বস্ত সুত্রে আরো জানা যায়, উক্ত সিগারেট দীঘিনালা হয়ে খাগড়াছড়িতে পৌঁছাতে চোরাকারবারি গ্রুপ বাঘাইছড়ি,মারিশ্যার পাহাড়ী জনপদ ও কাপ্তাই হ্রদকে ব্যবহার করে। এসব চোরাচালানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান বাংলাদেশ সেনাবাহিনী লংগদু জোন