মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে নানান কর্মসূচি পালন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। জাতীয় পর্যায়ের গৃহীত কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্য রেখে যথাযথ মর্যাদায় এ দিবসটি পালন করে উন্নয়ন বোর্ড।
শনিবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাঙামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এর নেতৃত্ব দেন উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা।
এরপরউন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেন উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এরপর সকাল ৯টায় মাইনী মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান জনাব নিখিল কুমার চাকমা। অনুষ্ঠান শুরুতে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে নিখিল কুমার বলেন ২৬শে মার্চ আজকের দিনটি প্রত্যেকের জন্য আনন্দের দিন। এ দিনের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ি। স্বাধীনতা অর্জনের মধ্যে দিয়ে আমরা বিশ্বের দরবারে স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি পেয়েছি।
আমরা বঙ্গবন্ধুকে হারালেও তাঁর আদর্শ ও নীতিকে হারায়নি। তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন পূরণে বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য অভিযাত্রায় এগিয়ে চলেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন যে, স্বাধীনতার বিরোধী কুচক্রীমহল স্বাধীন বাংলাদেশকে নানা যড়যন্ত্রের মাধ্যমে অকার্যকর করতে চেয়েছিল। তাৎকালিন সময়ে যারা ক্ষমতায় ছিলো তারা স্বাধীনতার বিরোধীদেরকে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরী করে দিয়েছিল এবং মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়েছিল যাতে এদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যেতে না পারে। স্বাধীনতা বিরোধী কুচক্রীমহল আর যাতে কোন যড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে না পারে তিনি এ বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকার আহবান জানান।
ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল আলম চৌধুরী বলেন যে, ২৬শে মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা ঘোষনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। হেনরি কিসিঞ্জার একসময় বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ ও দূরদর্শি রাষ্ট্র পরিচালনায় বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
আলোচনা সভায় বোর্ডের সদস্য প্রশাসন ইফতেখার আহমেদ (যুগ্মসচিব), সদস্য বাস্তবায়ন মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ (উপসচিব), সদস্য পরিকল্পনা মোঃ জসীম উদ্দিন (উপসচিব), মিশ্র ফল চাষ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জনাব মোঃ সফিকুল ইসলাম, উপপরিচালক মংছেনলাইন রাখইন, নির্বাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমা, টেসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক নিলুফার নাজনীন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্মচারী কল্যান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভায় জেলা প্রকল্প ব্যবস্থাপক মনজু মানস ত্রিপুরা, গবেষণা কর্মকর্তা কাইংওয়াই ম্রো, বাজেট ও অডিট অফিসার মোঃ নুরুজ্জামান, তথ্য অফিসার ডজী ত্রিপুরা, সহকারি পরিচালক সাগর পাল, সহকারি প্রকৌশলী মোঃ খোরশেদ আলম, সহকারী পরিকল্পনা কর্মকর্তা মনতোষ চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিকসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড উর্ধ্বতন কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।