কাপ্তাইয়ের ব্যবসার প্রান কেন্দ্র জেটিঘাট বাজার। একপাশে কাপ্তাই লেক আর এক পাশে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র অবস্থিত। কাপ্তাই লেক হয়ে প্রতিদিন শত শত যাত্রী রাঙামাটি সদর এবং বিলাইছড়ি উপজেলায় গমন করেন। এইছাড়া সাপ্তাহিক বাজার শনিবারে এই বাজারে শত শত পাহাড়ি – বাঙালির ক্রেতা বিক্রেতার সমাগম ঘটে। স্বাভাবিক কারনে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের চাহিদা রয়েছে এই বাজারে।
সেই সুযোগে বছরের পর বছর কিছু কিছু দোকানদার অসচেতন ক্রেতাদের কাছে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করে বেশ লাভবান হয়ে আসছে।
প্রায়ঃশ এই বাজারে কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার ( ১৮ এপ্রিল) সকাল ১১ টা হতে দুপুর ১ ঘটিকার সময় কাপ্তাই উপজেলার ৪ নং কাপ্তাই ইউনিয়ন জেটিঘাট বাজারে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুনতাসির জাহান ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা কালীন সময়ে জেটিঘাট চিটাগং স্টোরে গিয়ে নির্বাহী হাকিম দেখতে পান, সেই দোকানের ডিসপ্লেতে ৫ বছর আগে মেয়াদ শেষ হওয়া পণ্য বিক্রির উদ্যোশে রাখা হয়েছে। এইসময় তিনি মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির অপরাধে ঐ দোকানের বিরুদ্ধে ভোক্তা সংরক্ষণ আইনে মামলা দায়ের করেন এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এইছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য রাখার অভিযোগে জেটিঘাট ক্যাফে আজিজ হোটেলকে একই আইনে ৮ হাজার টাকা এবং সজল দাশের দোকানকে ৫শত টাকা সহ সর্বমোট ৩ টি মামলায় ১৩ হাজার ৫০০ শত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এসময় উপজেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মোঃ ইলিয়াছ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের সার্টিফিকেট সহকারী আরিফ হোসেন ও কাপ্তাই প্রজেক্ট পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ ফোর্স ভ্রাম্যমান আদালতকে সহায়তা করেন।