আগামী ১৫ই জুন রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার পৌরসভার নির্বাচনে নিজেদের নৌকা প্রতীকের একমাত্র পার্থী চুড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ।
১৩ মে শুক্রবার রাত দশ ঘটিকায় বাঘাইছড়ি পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ জমির হোসেন এর নাম চুড়ান্ত করে দলীয় মনোনয়ন বোর্ড। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষর সংবলিত মনোনয়ন পত্র হস্তান্তর করেন।
রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপির বিশেষ সহকারী অমিত চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন , মনোনয়ন প্রত্যাশী সকলের রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড, গ্রহণযোগ্যতা, জনপ্রিয়তা এবং জয় পাবার সম্ভাবনা বিবেচনা করে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মনোনয়ন বোর্ড প্রার্থী মনোনয়ন চুড়ান্ত করেছে। দলীয় ও পছন্দের পার্থীর নাম ঘোষণার সাথে সাথেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে আনন্দ ও উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায় চোখে পরার মত।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন মামুন বলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ২৯৯ নং রাঙামাটির আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপির নেতৃত্বে বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন ঐক্যবদ্ধ আগামী ১৫ই জুন পৌরসভার নির্বাচনে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের মেয়র পার্থী জমির হোসেনের বিজয় সুনিশ্চিত করবো ইনশাআল্লাহ।
উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিক দলীয় প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত করতে বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ এখানে দ্বিমত পোষণের কোন সুযোগ নেই।
বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামর লীগের সিনিয়র সদস্য হাজী আব্দুর শুক্কুর মিঞা বলেন আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত সংগঠন দীপংকর তালুকদার এমপির নেতৃত্বে আমরা দলীয় মেয়রের বিজয় সুনিশ্চিত করতে মাঠে থাকবো।
মনোনয়ন নিশ্চিত হয়ে পৌর-আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ জমির হোসেন বলেন, মহান রাব্বুল আলামিনের নিকট লাখো কোটি শুকরিয়া এবং আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি গনতন্ত্রের মানস কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি এবং রাঙামাটি আওয়ামী লীগের অভিভাবক জননেতা দীপঙ্কর তালুকদার এমপি ও বাঘাইছড়ি সকল স্থরের নেতা কর্মীদের প্রতি যারা আমার উপর আস্থা রেখেছেন। বাঘাইছড়ি পৌরসভায় নৌকার বিজয় নিশ্চিত হলে আমি সকল নেতাকর্মী ও বাঘাইছড়ি পৌরবাসীকে সাথে নিয়ে আধুনিক পৌরসভা বিনির্মানে কাজ করে যাবো।
২২.৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকার এই পৌরসভায় ৯ টি ওয়ার্ড ও ৩ টি সংরক্ষিত আসনে পাহাড়ি ও বাঙ্গালী মিলে ১০ হাজার ৯ শত ৯৩ জন ভোটার রয়েছে এর মধ্যে নারী ভোটার রয়েছে ৫২৭৪ জন, পুরুষ ভোটার রয়েছে ৫৭১৯ জন। পৌরসভাটি ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো দীর্ঘ সময়ে পৌরবাসীর নাগরিক জীবনের তেমন কোন পরিবর্তন ঘটেনি তাই ১৫ তারিখের নির্বাচন ঘিরে সকল ভোটারের মাঝে উৎসবের আমেজ দেখা দিয়েছে।