সোমবার , ২৩ মে ২০২২ | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

প্রিয় দলের সম্মেলন সফল হোক; আসুক সুষ্ঠু ধারার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব

প্রতিবেদক
সুশীল প্রসাদ চাকমা, রাঙামাটি
মে ২৩, ২০২২ ১০:২০ অপরাহ্ণ

রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলন-২০২২ ঘিরে সরব হয়ে উঠেছে তাদের দলীয় রাজনীতি। নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা যাচ্ছে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা।

একই সঙ্গে জমে উঠেছে জেলা আওয়ামী লীগের পরবর্তী নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনী তৎপরতা। সবকিছু মিলিয়ে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উচ্ছ্বাসিত উজ্জীবিত দলটির নেতাকর্মী সবাই।

এ সম্মেলন ঘিরে রাঙামাটির রাজনীতির মাঠ এখন সরগরম। দলটির ভেতরে বাইরে প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এ নিয়ে সর্বত্র আলোচনার ঝড়। যা প্রায় মাসজুড়ে বেশ লক্ষণীয় হয়ে ওঠে। এখন সবার দৃষ্টি জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিকী সম্মেলন-২০২২’এর দিকে।

এ সম্মেলন হচ্ছে ২৪ মে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ, মঙ্গলবার।

এদিন সকাল ১০টায় রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গনে সম্মেলন উদ্বোধন করবেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।

এতে উদ্বোধক হিসাবে দলটির কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এমপি এবং প্রধান অতিথি হিসাবে দলটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপস্থিত থাকবেন বলে খবর পাওয়া যায়। এছাড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফসহ দলটির অন্য কেন্দ্রীয় নেতারা বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

বিকালে ইনস্টিটিউটের হলরুমে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় অধিবেশন। এতে জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনকল্পে মনোনীত ২৪৬ জন কাউন্সিলরের ভোটে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

দলীয় সূত্র বলেছে, সম্মেলনের সব প্রস্তুতি শেষ। পূর্বনির্ধারিত ঠিক সময়েই শুরু হবে সম্মেলন। এ সম্মেলনে কাউন্সিলর ও ডেলিগেটসহ অন্তত দুই হাজার নেতাকর্মী যোগ দিতে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে দুর্গম বিভিন্ন উপজেলা ও তৃণমুলের নেতাকর্মীরা সম্মেলনে যোগ দিতে রাঙামাটি শহরে অবস্থান নিচ্ছেন। আমাদের প্রত্যাশা, রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের ২৪ মে’র সম্মেলন গোটা জেলাবাসীর জন্য অনন্য ও অগ্রগণ্য ভূমিকার এক গুরুত্বপূর্ণ সোপান হয়ে উঠবে। তাই সফল হোক রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন-২০২২। এতে আসুক গঠনতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক সুষ্ঠু ধারার রাজনীতির বলিষ্ঠ নেতৃত্ব। আর সেই অপেক্ষায় এ জেলার সর্বমহলও।

এ দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ নিঃসন্দেহে নিরঙ্কুশ একটি বড় দল। স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দল এটি। মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগ। ইতিহাসের মহানায়ক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতেগড়া দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা,স্বার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশকে। বঙ্গবন্ধুর দুর্বার সাহসী নেতৃত্বের ফসল আমাদের আজকের প্রিয় জন্মভূমি স্বাধীন বাংলাদেশ। আমরা আজকের স্বাধীন বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, মেধা, পরিশ্রম, প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতায় তার নেতৃত্বাধীন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের নিরন্তর চেষ্টার ফলে আজকে বাংলাদেশের উন্নয়নে পরিবর্তন এসেছে আকাশ সমান। এটা নিঃসন্দেহে জাতির জন্য যুগ-যুগান্তরের অর্জন।

স্বাধীনতা পূর্ব-উত্তর বাংলার মাটি ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারসহ দেশ ও জাতির স্বার্থে দলটির ঐতিহাসিক ভূমিকা অপরিসীম তুলনাবিহীন।

আওয়ামী লীগই স্বাধীনতার ইতিহাস, ইতিহাসের মুল স্তম্ভ- যা অস্বীকারের কারও কোনো সুযোগ নেই। এখানে যারা জাতির পিতাকে যারা নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল, তারা  স্বভাবতই স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকচক্র।

কিন্তু এসব ভয়ঙ্কর দানবরুপী ঘাতকদের দমনে সক্ষম হয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সাহসী কন্যা শেখ হাসিনা। এসব কিছুর বিচারে আওয়ামী লীগের প্রতি দেশের গণমানুষের আস্থা বরাবরই অবিচল। তাই মহান মুক্তিযুদ্ধের ও গণতন্ত্রের অকৃত্রিম শক্তি আওয়ামী লীগ যাতে সবল সুদৃঢ় হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখতে পারে সেজন্য দলটিকে চিরজীবী রাখার কর্তব্য দলমত নির্বিশেষে সবার। এজন্য গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী রাখতে দলটির সর্বস্তরে প্রয়োজন যোগ্য, দুর্নীতিমুক্ত ও প্রগতিশীল নেতৃত্ব।
সব কিছুর চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে গণতন্ত্রের দল মুক্তিযুদ্ধের শক্তি ও স্বাধীনতার ঐতিহাসিক স্তম্ভ আওয়ামী লীগের প্রতি আমার হৃদয়ে নাড়া দিয়ে বসে ছাত্র আমলেই।

১৯৮৫ সালের দিকে একদিন সাক্ষাৎ মেলে আমার রাজনীতির পরমবন্ধু সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেলের সঙ্গে। যিনি বর্তমানে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি। ওই সময়ে রুবেল ভাই ছিলেন জেলা যুবলীগের সভাপতি। সাক্ষাতের প্রথম দিনের আলোচনাতেই তিনি আমাকে যুবলীগে যোগদান করান। এরপর সরাসরি নেমে পড়ি রাজনীতির মাঠে। গঠন করি জুরাছড়ি উপজেলা যুবলীগ। পরবর্তীতে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ছিলাম। নব্বই দশকের দিকে কেন্দ্র কর্মসূচি অনুযায়ী রাঙামাটিতে এরশাদের নেতৃত্বাধীন স্বৈরচারবিরোধী সরকার পতনের আন্দোলন গড়ে তুলি রাঙামাটি জেলাব্যপী। সেই সময়ে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বদিউল আলম, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক এমপি সুদীপ্তা দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক দীপংকর তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক আশুতোষ বড়ূয়া, জেলা যুবলীগ সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, জেলা ছাত্ররীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অংসুই ছাইন চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের তৎকালীন নেতাকর্মীরা।

১৯৯০ সালে জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতির পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নিযুক্ত হই। একই সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন আট দলীয় জোটের মনোনীত প্রার্থী হয়ে রাঙামাটি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করি। নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করলেও তৎকালীন এরশাদ সরকারের প্রশাসন ফলাফল পাল্টে দিয়ে অপর প্রতিদ্বন্ধিকে নির্বাচিত ঘোষণা করে। এরপর আওয়ামী লীগের তীব্র আন্দোরনের মুখে স্বৈরচারী এরশাদ সরকারের পতন ঘটলে ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে রাঙামাটি আসনে দলীয় মনোনীত প্রার্থী দীপংকর তালুকদারের নির্বাচনী কর্মকান্ড পরিচালনায় সর্বাত্মক ভূমিকা পালন করি।

আমি আসনটিতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ছিলাম। একইভাবে ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনেও একই ভূমিকা রাখি। এর মধ্যে ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক এবং ২০০২ সালের ৪ নভেম্বরের সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হই। কিন্তু ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আমার অজান্তে দলত্যাগী উল্লেখ করে কাউন্সিলরসহ দল থেকে আমাকে সরাসরি বাদ দেওয়া হয়। ফলে সেই থেকে দলীয় রাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকে সরে দাঁড়িয়ে নিস্ক্রিয় থাকতে বাধ্য হতে হয়েছে আমাকে। অথচ আমি কোনো প্রকার পদত্যাগ পত্রও দিইনি। কী কারণে আমাকে দলত্যাগী উল্লেখ করে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, সেই প্রশ্নের উত্তরও আজ পর্যন্ত জানানো হয়নি আমাকে। আওয়ামী লীগে ফেলে আসা কর্মকান্ড আজ আমার কেবল স্মৃতি- যা রয়ে যাবে কালের সাক্ষী হয়ে।

স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দল মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের শক্তি আওয়ামী লীগ চিরজীবি হয়ে যুগে যুগে অদ্বিতীয় থাকবে, থাকবে বাংলার মানুষের হৃদয়জুড়ে- এটাই কাম্য। প্রার্থনা করি দলটির কর্ণধার সুযোগ্য নেতৃত্ব জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উত্তরোত্তর সাফল্য, সুস্থ শরীর ও দীর্ঘায়ু। ভালো থাকুন আওয়ামী পরিবারের সবাই।

জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয় হোক বাংলার মানুষের।
বাংলাদেশ চিরজীবি হোক।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত

কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় এবং অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সংবর্ধনা

মানিকছড়িতে ৫শ কৃষক পেল প্রণোদনা

রাঙামাটি হাসপাতালে দুই জরায়ু বিশিষ্ট এক রোগীর সফল অপারেশন

রাউজানের একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাতিগত বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে

তামাক ছেড়ে ভুট্রা চাষে সফল নুরনবীর

কাপ্তাইয়ে বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণে বিজিবির নানা আয়োজন

খাগড়াছড়িতে আদিবাসী দিবস পালন / আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতিসহ পার্বত্য চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দাবি

বান্দরবানে ভোট বর্জনে বিএনপির লিফলেট বিতরণ

বান্দরবানে দশ হাজার ইয়াবাসহ দুইজন আটক

কাপ্তাই নিসর্গ রিভার ভ্যালি এন্ড পড হাউজ পরিদর্শনে মুগ্ধ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক

%d bloggers like this: