খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় ভারী বর্ষণে পাহাড়ি ঢলে মাইনী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে, পানি বন্ধি হয়েছে ১ হাজার পরিবার।
গত ৩ দিনে উপজেলায় ভারী বর্ষণে মেরুং, কবাখালীর অন্তত ১ হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়েছে। এসময় পানিতে মেরুং ইউপির সোবহানপুর, হাঁজাছড়া, মেরুং বাজার, মেরুং বাজার এলাকা, ৩ নং কলোনি, চিটাগাং পাড়া, গোডাউন পাড়া, বড়মেরুং কুমিল্লা পাড়া, গংগারটেক, ব্রি-বাড়িয়া পাড়ার একাংশসহ অন্তত ৫শ ও কবাখালী ইউপির তারা-বুনিয়া, হাচিসনপুর, দক্ষিণ পাবলাখালী, ডুলোছড়ি, কবাখালী বাজার, রশ্মিমনি কার্বারী পাড়া, মুসলিম পাড়া,দক্ষিণ মিলন পুর সহ অন্তত ৫শ পরিবার পানি বন্দি হয়েছে।
এদিকে মাইনী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় মেরুং ইউপির আশ্রয়কেন্দ্র ৫০ পরিবার ও কবাখালী ইউপির আশ্রয়কেন্দ্রে ৩০ পরিবার আশ্রয় কেন্দ্র অবস্থান করছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান।
মেরুং ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকী জানান, আশ্রয় কেন্দ্র অবস্থানরকারী পরিবারের মাঝে রাতে খিচুরি ও সকালে পাউরুটি দেওয়া হয়েছে। এদিকে আজ দুপুরে খিচুরি ব্যবস্থা করা হয়েছে হচ্ছে তাদের জন্য, পানি না কমা পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্র অবস্থানকারীদের খাবার ওষুধ ব্যবস্থা করা হবে। কবাখালী ইউপি চেয়ারম্যান জ্ঞানো চাকমা জানান, কবাখালী ইউপিতে পানি বেড়ে যাওয়ায় ৩০ জন আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছে তবে পানি কমতে থাকায় তারা নিজের বাসায় চলে যাচ্ছেন।
এদিকে উপজেলায় রাতে ভারী বৃষ্টির ফলে পানি বেড়ে যাওয়ায় দীঘিনালার সাথে লংগদু সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা নৌকা দিয়েই পাড়াপাড় হচ্ছে মানুষ। তাছাড়া পানি বেড়ে যাওয়ায় সাজেক সড়কের কবাখালী ইউনিয়নের কিছু অংশ পানির নিচে তলিয়ে যায়। এতে সাজেক ও দীঘিনালা সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিরো সকাল ১০ টা পর্যন্ত।
পানি কমতে থাকায় সাজেক সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। মেরুং এলাকা পানি বাড়তে থাকায় মেরুং বাজার পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।