মঙ্গলবার , ২১ জুন ২০২২ | ১৯শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

একান্ত সাক্ষাতকারে জি বাংলার সারেগামাপা এর শিল্পী শুভ দাশ

প্রতিবেদক
ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই, রাঙামাটি
জুন ২১, ২০২২ ৯:৫৯ অপরাহ্ণ

একান্ত সাক্ষাতকারে জি বাংলার সারেগামাপা এর শিল্পী শুভ দাশঃ নিজের মৌলিক গান দিয়ে শ্রোতাদের মাঝে জায়গা করে নিতে চাই।

সাক্ষাতকার গ্রহনেঃ ঝুলন দত্ত।

বীর চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার সন্তান শিল্পী শুভ দাশ। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর চলে আসেন চট্টগ্রাম শহরে। গানে প্রথম হাতেখড়ি মায়ের কাছে। এরপর চট্টগ্রামের গুণী সংগীত গুরু পন্ডিত স্বর্নময় চক্রবর্তীর কাছে তালিম নেন শাস্ত্রীয় সংগীতে। বাংলাদেশ টেলিভিশন ঢাকা কেন্দ্রে নজরুল ও আধুনিক দুই বিভাগে তালিকাভুক্ত শিল্পী তিনি। এই বছর জি বাংলার জনপ্রিয় সংগীত বিষয়ক রিয়ালিটি শো সারেগামাপা এর মূল পর্বে উত্তীর্ণ হয়ে কলকাতা সহ সমগ্র বাংলা ভাষাভাষীর কাছে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। এই প্রথম চট্টগ্রাম হতে জি বাংলার রিয়েলিটি শো তে তিনি মূল পর্বে যাবার সুযোগ লাভ করেছেন। মূল পর্বে উত্তীর্ণ হবার পর গত ১৭ জুন মাত্র কয়েকদিনের জন্য তাঁর প্রিয় শহর চট্টগ্রাম শহরে আসেন।

মঙ্গলবার (২১ জুন) রাত ৯ টায় চট্টগ্রাম মোমিন রোড ইকুইটি অন্তরা মার্কেটের মিউজিক্যাল শো রুম টিউনারীতে তাঁর সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের।

প্রতিবেদকঃ জি বাংলা অডিশনের গ্রান্ড ফাইনালে এবার আপনার যাবার বিষয়টি বলবেন।

শুভ দাশঃ প্রথমে সারেগামাপা অনলাইনে আমার একটা অডিশান নেয়। এরপর কলকাতায় গিয়ে গ্রান্ড অডিশনের জন্য নির্বাচিত হই। তিনটি অডিশন পার করে মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছি।

প্রতিবেদকঃ এই প্রথম ভারতবর্ষের গুণী শিল্পী ও সংগীত পরিচালকদের সামনে বড় পরিসরে গান করলেন। প্রথম গান শুনে উনারা কি বলেছেন।

শুভ দাশঃ অডিশন রাউন্ডে আমি উপমহাদেশের বিখ্যাত কন্ঠ শিল্পি শ্রদ্ধেয় মান্না দে’ এর একটি গান পরিবেশন করি। প্রথমটি হলো ” এ তো রাগ নয় এ যে অভিমান”। বিচারকরা শুধুমাত্র হারমোনিয়াম তবলা দিয়ে আর একটি গান গাইতে বলেন। আমি অখিল বন্ধু ঘোষের ” তোমার ভূবনে ফুলের মালা” গানটি করি। বিচারক পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী ও শ্রীকান্ত আচার্য গান শুনে বেশ প্রশংসা করেন। এইসময় পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী বলেন, তোমার কন্ঠস্বর ভালো এবং তুমি ভালো হারমোনিয়াম বাজাও। অপর বিচারক শ্রীকান্ত আচার্য বলেন, বড্ড যত্ন করে মন দিয়ে গেয়েছ, সেটা প্রকাশ পেয়েছে তোমার গানে।

প্রতিবেদকঃ আপনার সংগীত শেখা কিভাবে শুরু বলবেন কি

শুভ দাশঃ মূলত সংগীতে আমার হাতেখড়ি আমার মা আন্না দাশের কাছে। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম শহরে চলে আসি। চট্টগ্রাম শহরে পন্ডিত স্বর্ণময় চক্রবর্তীর নিকট শাস্ত্রীয় সংগীতে তালিম নিই। এইছাড়া কলকাতার বিখ্যাত সংগীত পরিচালক ও শিল্পী গৌতম ঘোষালের কাছে গানে এখনো তালিম নিচ্ছি।

প্রতিবেদকঃ সংগীত নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ চিন্তাভাবনা কি?

শুভ দাশঃ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বলতে প্রথমত, আমি বাংলাদেশের একজন ভালো শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চাই এবং নিজের মৌলিক গান দিয়ে শ্রোতাদের কাছে জায়গা করে নিতে চাই। এর মধ্যেই আমার বেশ কয়েকটি মৌলিক গানের কাজ শুরু করেছি যা সারেগামাপা শেষ হলে আমি গানগুলো প্রকাশ করার আশা করছি।

দ্বিতীয়ত, দেশ ও জাতির কল্যাণে সকলকে সুস্থ ধারার গানবাজনায় অনেক বেশি সম্পৃক্ত করতে কাজ করে যাবো এবং পরবর্তীতে একটি সংগীতের ইনস্টিটিউট করার দৃঢ় ইচ্ছা রয়েছে যেখানে অর্থাভাবে আমাদের দেশের অনেক প্রতিভা বিকাশের সুযোগ হয় না তাদেরকে সংগীতের তালিম দেয়া এবং শ্রোতাদের সামনে নিয়ে আসার কাজ করে যাবে এই ইন্সটিটিউশান।

প্রতিবেদকঃ সাক্ষাতকার দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

শুভ দাশঃ আপনাকেও ধন্যবাদ

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত
%d bloggers like this: