পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে এবং বন, বনভূমি, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণে সামাজিক বনায়নের বিকল্প নেই। এজন্য অধিকহারে বৃক্ষরোপণ করতে হবে। সৃজন করতে হবে বনজ, ফলজ ও কৃষিজ বাগান। এ লক্ষ্যে পাহাড়েরর জোতদার, বাগান মালিক, কৃষকসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে আসতে হবে। তাই সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি পার্বত্য অঞ্চলে সামাজিক বনায়নে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাঙামাটিতে সপ্তাহব্যাপী আয়োজিত বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এ আহবান জানান।
‘বৃক্ষ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে রাঙামাটিতে যৌথ উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ ও বৃক্ষমেলা- ২০২৪ আয়োজন করে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ। এ মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ২২ হতে ২৮ জুলাই। কিন্তু সম্প্রতি দেশে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে এ সময়ে সরকার কারফিউ ও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় পূর্ব নির্ধারিত দিনের পরিবর্তে বৃহস্পতিবার এ বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করে তা চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত।
রাঙামাটি পৌরসভা চত্ত্বরে আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী এ বৃক্ষরোপণ ও বৃক্ষমেলা উপলক্ষ্যে উদ্বোধনীর দিন সকাল ১০টায় শহরের বনরুপার পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ কার্যালয়ের সামনে হতে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মেলাস্থল গিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাঙামাটির সংসদ—সদস্য দীপংকর তালুকদার।
এছাড়া রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রম্ন চৌধুরী, রাঙামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক মো. মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, সিভিল সার্জন ডা. নুয়েন খীসা, রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র মো. আকবর হোসেন চৌধুরী ও রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা ও মেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ড. মো. জাহিদুর রহমান মিয়া। আলোচনা সভা শেষে মেলার স্টল পরিদর্শন এবং পৌরসভা চত্ত্বরে গাছের চারা রোপণ করেন অতিথিরা।