ইউপিডিএফ সহযোগী সংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ এর ব্যানারে রঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা কে ‘খুনী’, ‘সন্ত্রাসীদের গডফাদার’, ‘জাতীয় কুলাঙ্গার’, ‘দালাল’ ইত্যাদি আখ্যায়িত করে এবং ‘সন্তু তোমার খুনের রাজনীতি বন্ধ কর! জেএসএসের (সন্তু) প্রতি ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত বন্ধের আহবানে’ শীর্ষক ব্যানার নিয়ে আয়োজিত মানববন্ধনটি সম্পূর্ণ আক্রমণাত্মক, বিদ্বেষমূলক, উস্কানিমূলক, মানহানিকর ও রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত দাবী করে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছে জনসংহতি সমিতি।
শুক্রবার দলটির কেন্দ্রীয় সহ তথ্য প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা এ বিবৃতি পাঠায়। এতে ইউপিডিএফকে স্বশস্ত্র সংগঠন দাবী করে বলা হয় উক্ত মানববন্ধনে জেএসএস’এর প্রতি তথাকথিত ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধের আহবান জানানো হলেও তাদের অধিকাংশ বক্তব্যে ও শ্লোগানে জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান শ্রী জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমাকে (সন্তু লারমা) লক্ষ্য করে যে বক্তব্য দেয়া হয়েছে সেগুলো সম্পূর্ণ আক্রমণাত্মক, বিদ্বেষমূলক, উস্কানিমূলক, মানহানিকর ও রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি দৃঢ়কন্ঠে বলতে চায়, কায়েমি স্বার্থবাদী একটি বিশেষ মহল কর্তৃক চুক্তি বিরোধী ও জুম্ম স্বার্থ পরিপন্থী যে গভীর ষড়যন্ত্র চলমান রয়েছে সেই মহলেরই নির্দেশে এবং তারই অংশীদার হিসেবে চুক্তিবিরোধী ইউপিডিএফ কর্তৃক উক্ত দুই সংগঠনকে ব্যবহার করে এই ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক মানববন্ধনের নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে।
উক্ত মানববন্ধনে যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভাওতাবাজি ও জনগণকে বিভ্রান্ত করার ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয়। বস্তুত ইউপিডিএফ পার্বত্য অধিবাসীদের অধিকারের সনদ পার্বত্য চুক্তিকে কালো চুক্তি বলে আখ্যায়িত করেছে এবং চুক্তি বিরোধীতার মধ্যেই যার জন্ম সেই ইউপিডিএফ এখনো একই অবস্থানে রয়ে গেছে। তারা এখনো সমানে চুক্তি বিরোধীতার কথা বলে, চুক্তি বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে ও চুক্তি স্বাক্ষরকারী জনসংহতিসমিতির নেতৃত্বকে ধ্বংস করার অপচেষ্টায় লিপ্ত।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ইউপিডিএফ এর উক্ত মানববন্ধনে যে উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্য ও শ্লোগান দেয়া হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং অবিলম্বে তাদের এহেন বক্তব্য প্রত্যাহার ও পরিহার করার আহবান জানাচ্ছে। পাশাপাশি জুম্ম জাতি ও পার্বত্য অধিবাসীদের সামগ্রিক স্বার্থে চুক্তি বিরোধী ও জুম্ম স্বার্থ পরিপন্থী ষড়যন্ত্র থেকে বেরিয়ে এসে জনসংহতি সমিতির নেতৃত্বে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নসহ আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সামিল হওয়ার জন্য পুন: আহবান জানাচ্ছে।