বৃহস্পতিবার , ২৫ আগস্ট ২০২২ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

বৃষ্টির পানি যখন কৃষকের ভরসা

 

পাহড়ি জনপদের অধীকাশং ধানের জমিতে পানি সেচের জন্য নদীর পানি বেশ দূরে হওয়ায়, ঝর্ণা বা ছড়ার পানির উপর নির্ভর হতে হয় কৃষকদের।

আবার কিছু কিছু জমিতে নদী ও ছড়া বহু দূরে হওয়ায় বিকল্পভাবে কনো পানি সেচের ব্যবস্থা থাকেনা,তাদের ভরসা থাকে একমাত্র বৃষ্টির পানি।

পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের লাঙ্গল পাড়া এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় প্রায় ৫০ কানি জমিতে ধানের চাষ হচ্ছে কিন্তু সেখানে নেই কোন প্রকার পানী সেচের ব্যবস্থা।সেখানকার চাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায় একমাত্র বৃষ্টি হচ্ছে তাদের পানি সেচের ভরসা তাই অন্য মৌসুমে ধানের চাষ না করে সেখানে কেবল বর্ষা মৌসুমে চাষ হয় ধান এবং পানি সেচের যদি বিকল্প ব্যবস্থা করা হয় তবে সারা বছরই ধান চাষের উপযুক্ত হবে এই জমিগুলো।

সেখানকার কৃষক অমর জীবন চাকমা জানায়, জমিতে এবার বাসন্তী ধান লাগিয়েছি পানি আনার কনো ব্যবস্থা নেই তাই যখন বৃষ্টি হয় সেই আশায় বসে থাকি,কতৃপক্ষ আমাদের পানির ব্যবস্থা করে দিলে আমরা খুব উপকৃত হবো ধান চাষের পরিমান ও বাড়বে।

কৃষানী মিনতী চাকমা বলেন, বৃষ্টি আসলে ধান লাগাতে পারি না হয় পারিনা,পানির সমস্যায় আমাদের অন্য মৌসুমে চাষের সম্ভাবনা হয়না।যদি

বৃষ্টি না হয় আমাদের কপালে হাত দিতে হয়,আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকি বৃষ্টি কখন হয়,অনেক কষ্ট করে দিন ভর পরিশ্রম করে ধান লাগায়েও সফল না হলে খুব কস্ট হয়।

কৃষক বিমল কান্তি চাকমা বলেন,আমরা এই পাড়ায় প্রায় ২৫/৩০ জন কৃষক ধান চাষ করছি ৫০ কানি জমিতে এবং পানি সেচের ব্যবস্থা না থাকায় আমরা আগ্রহ হারাচ্ছি বর্তমানে ধানের পাশে আগাছা পরিস্কারের কাজ চলছে,পানি সেচের জন্য সরকারি ভাবে যদি ব্যবস্থা নিত আমরা সবাই উপকৃত হতাম।

এবিষয়ে নানিয়ারচর উপজেলা সহ- কৃষি কর্মকর্তা মোঃ- ইসহাক উদ্দিন জানায় উপজেলার লাঙ্গলপাড়া এবং জুড়াছুড়ির কিছু জমিতে পানি সেচের কনো ব্যবস্থা নেই তাই জেলা পরিষদ বরাবর পানির ব্যাবস্থার লক্ষ্য আবেদন পাঠানো হয়েছে,এসকল জমিতে কেবল বর্ষা মৌসুমে ধান চাষ হয় বাকি সময় গুলো খালি পড়ে থাকে যদি সব মৌসুমে চাষের ব্যবস্থা করা যেত তাহলে চাষীরা উপকৃত হবে, অর্থনৈতিক অবস্থাও ভাল হবে।

নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা জানিয়েছেন উপজেলার লাঙ্গলপাড়া থেকে শুরু করে জুরাইছড়ি অনেকগুলো এলাকায় কেবল বর্ষা মৌসুমে ধান চাষ হয় আবার অনেকগুলো এলাকায় পানি সেচের ব্যবস্থা না থাকায় বহু জমি সেখানে পরিত্যক্ত রয়েছে যদি সেখানে পানির ব্যবস্থা করা যেত তাহলে সবাই উপকৃত হতো, উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বরাদ্দ নেই তাই জেলা পরিষদ বা উন্নয়ন বোর্ড দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সেখানে পানি সেচের ব্যবস্থা করে দেন তবে ধান চাষে কৃষকরা উপকৃত এবং আগ্রহী হবে।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

%d bloggers like this: