বাঘাইছড়ি উপজেলায় ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচীতে বিএনপি জামায়াতের অতর্কিত সন্ত্রাসি হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন।
গত ২৬শে আগষ্ট শুক্রবার বিএনপির এই হামলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করে এসময় উপজেলা আওয়ামিলীগের পচার প্রকাশনা সম্পাদক ও আমতলী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রাশেল চৌধুরী ও আমতলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন মারাত্মক ভাবে আহত হয়। বর্তমানে আহত রাশেল চৌধুরী ও মনির হোসেন রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা মোরশেদ আলম জড়িত বিএনপি জামায়াতের ক্যাডারদের নাম উল্লেখ করে বাঘাইছড়ি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এই সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ২৮ আগষ্ট রবিবার বিকাল ৫ ঘটিকায় উপজেলা আওয়ামিলীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে চৌমুহনী উন্মুক্ত মঞ্চে এসে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও একই সময়ে উপজেলার খেদারমারা ইউনিয়ন ও আমতলী ইউনিয়নেও দলীয় নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
উপজেলা আওয়ামিলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ আলী হোসেনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাঘাইছড়ি পৌরসভার মেয়র মোঃ জমির হোসেন, উপজেলা আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ গিয়াসউদ্দিন মামুন, আওয়ামীলীগের সিনিয়র সদস্য আব্দুর শুক্কুর মিঞা, পৌর আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক মুনছুর আলী। আমতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, মারিশ্যা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তন্টুমনি চাকমাসহ আওয়ামিলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের দুই শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বিএনপি জামায়াতের নেক্কারজনক এই সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামণা করেন। অন্যথায় বাঘাইছড়িতে অনাকাঙ্ক্ষিত যে কোন ঘটনার জন্য প্রশাসন দায়ী থাকবে।