স্মরণকালে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের সৃষ্ট অতিবৃষ্টি ও পাহাড় ধসের কারনে গত মাসের প্রথম সপ্তাহে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বান্দরবান- থানচি যোগাযোগব্যবস্থা। প্রায় এক মাস পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগের ২০ ইসিবির সদস্যরা সড়কটির সংস্কারে যোগাযোগ ব্যবস্থা আবারও স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওই রুটে যানচলাচল স্বাভাবিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাঃ আবুল মনসুর।
বান্দরবানের থানচি লাইনের টিকেট কাউন্টার ম্যানেজার মোঃ সাহাব উদ্দিন জানান, থানচি সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে বলে শুনেছি। বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে আগামীকাল ৭সেপ্টেম্বর থেকে বাস ছাড়ার চিন্তা রয়েছে বলে জানান তিনি।
সড়কটি সংস্কারের দ্বায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের আওতায় ২০ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন (২০ইসিবি)”র ওয়ারেন্ট অফিসার রাহুল হাসান পার্থ জানান, বান্দরবান- থানচি সড়কের পাতুই পাড়া পোড়া বাংলা এলাকায় অতিবৃষ্টির কারনে সড়ক ধসে গিয়ে গত মাসের ৭ আগষ্ট থেকে বান্দরবান-থানচি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিল। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২০ইসিবি ধসে যাওয়া সড়কের স্থান গুলোতে যোগাযোগ স্বাভাবিক করতে পাহাড় কেটে বিকল্প ব্রিক সলিন সড়ক তৈরী সম্পন্ন করা হয়েছে। ৬সেপ্টেম্বর দুপুর থেকে গাড়ী চলাচলের জন্য সড়ক উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। ফলে আজ থেকে স্বাভাবিকভাবে বান্দরবান-থানচি সড়ক যোগাযোগের কোন প্রকার সমস্যা নেই। এখন অনায়াসে যে কেউ থানচি ভ্রমণে যেতে পারবেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।
থানচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাঃ আবুল মনসুর জানান, আজ (৬সেপ্টেম্বর) থেকে ওই সড়কে ছোট গাড়ি গুলো (জীপ বা পর্যটকবাহী চাঁদের গাড়ী) চলাচল করছে। পরবর্তীতে ভারী যান চলাচল করতে পারবে বলে আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য যে গত মাসের প্রথম সপ্তাহে অতিবৃষ্টিপাতের কারনে বান্দরবান-রুমা-থানচি – সড়কের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে ও সড়ক ভেঙে গিয়ে বিশেষ করে বান্দরবান-থানচি সড়কের চিম্বুক-নীলগিরি সড়কের মধ্যে খানে পাতুই পাড়া-পোড়া বাংলা এলাকায় প্রায় ১শ মিটার সড়ক ভেঙে গিয়ে গত ৭ আগষ্ট থেকে বান্দরবান-থানচি সড়ক ১মাস ধরে সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণরুপে বন্ধ ছিল। এতদিন এ দু’টি উপজেলা সাধারণ মানুষজন যাতায়াতে একমাত্র বাহন নদীপথে করতে হয়েছে।