পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের কাজে বাধাদানকারী পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদকে একটি সাম্প্রদায়িক মদদপুষ্ট দল উল্লেখ করে কমিশনের কাজে বাধাদানে নিন্দা জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির পাঠানো এক প্রেস বিবৃতিতে নিন্দা জানান সংগঠনটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান।
প্রেস বিবৃতিতে গৌতম দেওয়ান বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামের বিদ্যমান ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান, যার নেতৃত্বে রয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। কমিশন সৃষ্টি হওয়ার প্রায় দুই যুগ পরেও এই কমিশন নানান কারণে তার ন্যূনতম অভীষ্ট লক্ষ্যও অর্জন করতে পারেনি। তার অন্যতম কারণ কমিশনের কার্যক্রমে পার্বত্য চট্টগ্রামের কতিপয় জাত্যভিমানী ও পাহাড়ি বিদ্বেষী বাঙালি সংগঠনসমূহের প্রতিনিয়ত বাধাপ্রদান, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।”
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, “দীর্ঘ আড়াই বৎসর পরে রাঙামাটিতে ৭ সেপ্টেম্বরে কমিশনের বৈঠকের বাধাদানের উদ্দেশ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ নামধারী সংগঠনের হরতাল আহবান ও এর সাম্প্রদায়িক মনোভাবপ্রসূত ৭ দফা দাবিনামার বিরুদ্ধে আমরা তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
দীর্ঘদিন পর শুরু হওয়া কমিশনের এ বৈঠককে আমরা স্বাগত জানাই এবং কমিশনের কার্যকর করার লক্ষে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো অনতিবিলম্বে বাস্তবায়নের আহবান জানায় নাগরিক কমিটি। সেগুলো হল
ক) পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য অনতিবিলম্বে পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠক আহবানসহ যথাযত পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
খ) ভূমি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের পেশকৃত পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বিধিমালা পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের প্রস্তাবানুসারে অনতিবিলম্বে প্রনয়ন করা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি ১৯৯৭ এর অভিপ্রায় এগিয়ে নেওয়ার জন্য ভূমি কমিশনের সংশোধিত সংশ্লিষ্ট আইনে কমিশনের গঠন, এখতিয়ার ও পদ্ধতিসহ অন্যান্য বিধানাবলী যথাযতভাবেই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বিধায় বর্তমান পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনের সংশোধনের কোন প্রয়োজন নেই বলে আমরা মনে করি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি ১৯৯৭ এর অভিপ্রায় এগিয়ে নেওয়ার জন্য ভূমি কমিশনের সংশোধিত সংশ্লিষ্ট আইনে কমিশনের গঠন, এখতিয়ার ও পদ্ধতিসহ অন্যান্য বিধানাবলী যথাযতভাবেই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বিধায় বর্তমান পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনের সংশোধনের কোন প্রয়োজন নেই বলে আমরা মনে করি।