পার্বত্য অঞ্চলে প্রতিটি ধর্মের মানুষ যাতে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা প্রদান করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া। তাই প্রতিটি সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান উন্নয়নে কাজ করছে রাঙামাটি জেলা পরিষদ।
পার্বত্য রাঙামাটির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সকল জাতি সত্ত্বা সহ সকল সম্প্রদায়ের উন্নয়নে খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদারের নির্দেশনায় রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরীর নির্দেশে উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করা হচ্ছে।
শনিবার রাঙামাটি সদর উপজেলাধীন ৩০০ বছরের পুরনো বসন্ত মোন পাংখোয়া পাড়ায় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ইউনাইটেড চার্চ উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি এই কথা বলেন।
এ সময় জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সন্তোস বিকাশ চাকমা, বিলাইছড়ি ফারুয়া ইউপি চেয়ারম্যান বিদ্যালাল তঞ্চঙ্গ্যা, রাঙামাটি সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সুখী চাকমা, স্থানীয় হেডম্যান কার্বারী সহ অন্যান্য গ্রামবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।
রেমলিয়ানা পাংখোয়া আরো বলেন পাংখোয়া সম্প্রদায়ের প্রাচীন পাড়া হচ্ছে বসন্ত মোন পাংখোয়া পাড়া। দুর্গমতার কারণে বসন্ত পাংখোয়া পাড়ায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। পার্বত্য অঞ্চলের অহংকার খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপির নির্দেশনায় ৭৬০০ ফুট দুর পাহাড়ের ঝর্ণা থেকে জিএফএসএর মাধ্যমে পাংখোয়া পাড়ায় পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দিয়েছে রাঙামাটি জেলা পরিষদ। যার সুবাদে এই এলাকার বসবাসরত ৩০ টি পরিবারের খাবার পানী সহ পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন প্রতিটি সম্প্রদায়ের উন্নয়ন কাজ করার সুবাদে এই এলাকায় আমার প্রথম বার আসা হয়েছে। আমি আসার পেছনে ও রাঙ্গামাটির সাংসদ দীপংকর তালুকদার ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরীর নির্দেশনা ছিল। তারা আমার মাধ্যমে গ্রামবাসীকে শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন।
আগামীতে যে কোন উন্নয়নে রাঙামাটি সাংসদ ও রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গ্রামবাসীর পাশে থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।
এছাড়া এই এলাকার যে সকল ছেলে মেয়ে প্রাথমিক লেভেল পার হয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য রাঙামাটি বা অন্যান্য স্থানে যেতে যাইলে আমাদের হাত সব সময় প্রসারিত থাকবে। যে কোন প্রয়োজনে গ্রামবাসী আমাদের সাথে যোগ করতে পারে। তিনি এই এলাকার উন্নয়নে সব সময় গ্রামবাসীর পাশে থাকবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। রাঙামাটি জেলা পরিষদের অর্থায়নে পাংখোয়া পাড়ায় এই চার্চটি নির্মাণ করে দেয়া হয়।