কাপ্তাই উপজেলার ২নং রাইখালী ইউনিয়নের কারিগর পাড়া বাজার হইতে বিলাইছড়ি উপজেলা সদর পর্যন্ত ৪০ কিঃ মিঃ সড়ক উন্নয়ন ও ব্রিজ নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্প্রর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটির সাংসদ দীপংকর তালুকদার এমপি। শনিবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৯ টায় তিনি কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়ন এর কারিগর পাড়া বাজারে এর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, রাঙামাটি জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ শফি, রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য অংসুইছাইন চৌধুরী, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুল হক, কাপ্তাই উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম চৌধুরী, চন্দ্রঘোনা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী, কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ,রাইখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুইচাইপ্রু মারমা, সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ তালুকদার সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
কাপ্তাই উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম চৌধুরী জানান, রাঙামাটি জেলা স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ২০২৫ সালের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
তিনি আরোও জানান, গত ৪ মে একনেকের সভায় গণভবন হতে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের অনুমোদন দেন। ৩৩৮ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
রাঙামাটি জেলা এলজিইডি সুত্রে জানা যায়, কাপ্তাইয়ের কারিগর পাড়া হতে বিলাইছড়ি পর্যন্ত সর্বমোট ৪০ কিঃ মিঃ দূর্গম সড়ক নির্মান করা হবে। তৎমধ্যে ৩১ কিঃ মিঃ কাপ্তাই অংশে এবং ৯ কিঃ মিঃ বিলাইছড়ি উপজেলার অংশে পড়েছে। অধিকাংশ পথই উঁচু নীঁচু পাহাড় বেষ্টিত। এই ৪০ কিঃ মিঃ সড়কে সর্বমোট ১১ টি ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। ৭ টি কাপ্তাই উপজেলা অংশে এবং ৪ টি বিলাইছড়ি উপজেলা অংশে ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। বিলাইছড়ি অংশে প্রতিটি ব্রিজ হবে ৪শত মিটার। এই বিশাল কর্মযজ্ঞে শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জনগণ, প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেন স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা।
রাইখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ জাকরিয়া জানান প্রকল্পটি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে বিলাইছড়ি ও কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী এলাকার জনসাধারণের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতি ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে।
ভালুকিয়া এলাকার নিহার তনচংগ্যা জানান- কারিগর পাড়া হইতে বিলাইছড়ি পর্যন্ত সড়ক করা হলে সড়কের ব্যবহারকারী ও পিছিয়ে থাকা জনসাধারণের উন্নতি বয়ে আনবে। আমাদের এলাকাটি একটি দুর্গম পাহাড়ি জনপদ ও সবদিকে পিছিয়ে থাকা এলাকা। অনুমোদিত প্রকল্পের অর্থ যাতে দুর্নীতি না হয়ে যথাযথভাবে ব্যয় করে বাস্তবায়িত হয় এবং জনসাধারণের ও দেশের স্বার্থে উন্নতি জন্য কাজ করা হয় সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।