রাঙামাটি- চট্টগ্রাম সড়কে কাঠবাহী ট্রাকে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের গুলি বর্ষণ এবং হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে রাঙামাটি জেলা ট্রাক-মিনিট্রাক মালিক শ্রমিক যৌথ কমিটির নেতৃবৃন্দরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে শ্রমিক নেতারা। রাঙামাটি জেলা ট্রাক মিনিট্রাক মালিক শ্রমিক যৌথ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেকান্দর হোসেন চৌধুরী ৭দিনের আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ট্রাক মিনিট্রাক মালিক শ্রমিক যৌথ কমিটির সভাপতি আলহাজ¦ সাব্বির আহাম্মদ ওসমানীর সভাপতিত্বে ট্রাক মিনিট্রাক পিকআপ সমিতির সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, রাঙামাটি জেলা সড়ক পরিবহন ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন, ট্রাক মিনিট্রাক পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এটিএম হাসমত উল্লাহ, ট্রাক মিনিট্রাক পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম, ট্রাক মিনিট্রাক পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি আলী আকবর আবু, মাইক্রো সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, রাঙামাটি জেলা মিনিট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক টিটু বিশ্বাস, সহ-সভাপতি কিশোর চৌধুরী সহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের অসহায় মানুষ গুলো পাহাড়ের পণ্য বহন করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু পাহাড়ের অবৈধ কিছু অস্ত্রধারী প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ট্রাক মিনিট্রাক সহ বিভিন্ন যানবাহন থেকে চাঁদা উত্তোলন করছে প্রতিনিয়ত। এছাড়াও রাঙামাটি ও চট্টগ্রাম সড়কে চালকদের উপর গুলি বর্ষণ, হয়রানী করা হচ্ছে। সন্ত্রাসীদের কারনে পাহাড়ের প্রতিটি মানুষ আজ ক্ষতিগ্রস্থ। তাই তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন,পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রধারীদের গ্রেফতার, দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা, গাড়ির ক্ষতিপূরণ ও সড়কে চালকদের নিরাপত্তা প্রদানসহ আসামীদের গ্রেফতারের দাবি জানান। দোষীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল আমিন বলেন, সন্ত্রাসীদের কোন ছাড় নাই। শ্রমিক নেতা তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করেছেন। তারা বিকালে মামলা করবেন বলে জানান। সন্ত্রাসী দমনে পুলিশ সকল ধরনের আইনী সহায়তা দেবেন।