পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ঐতিহ্যকে তুলে ধরার লক্ষ্যে শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারী) বিকেল ৪টা হতে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা ওয়াগ্গাছড়া রিভারভিউ পার্ক এন্ড পিকনিক স্পটের ম্যাডিসন স্কোয়ার প্রাঙ্গনের সাংস্কৃতিক মঞ্চে সাংস্কৃতিক উৎসব ” এর ৬ষ্ঠ পর্বে অনুষ্ঠিত হলো ৩২৬ নং পেকুয়া মৌজার নান্দনিক পরিবেশনা।
কাপ্তাই ব্যাটালিয়ন (৪১ বিজিবি) এই সাংস্কৃতিক উৎসব এর আয়োজন করেন।
এই দিনে ৩২৬ নং পেকুয়া মৌজায় বসবাসরত মারমা সম্প্রদায়ের শিল্পীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সজ্জিত হয়ে মারমা সম্প্রদায়ের জীবনধারা, মৎস্য আহরণ, জুম চাষের বৈচিত্র্য ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই জল উৎসবের নৃত্য, ক্যা-প্যায়ি গান সহ বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পরিবেশনা পরিবেশন করেন। এসময় তুমুল করতালিতে পার্কে আগত দর্শকরা এই অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
কাপ্তাই ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সাব্বির আহমেদ, এএসসি প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে এই অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
এসময় ৩২৬ নং পেকুয়া মৌজার হেডম্যান সানুচিং মারমা, কাপ্তাই উপজেলা হেডম্যান অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি থোয়াই অং মারমা, হেডম্যান উবাথোয়াই চৌধুরী সহ বিভিন্ন মৌজার হেডম্যান, কার্বারী, মহিলা ও পুরুষ এবং বিজিবির পদস্থ কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত থেকে এই নান্দনিক পরিবেশনা উপভোগ করেন।
বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সাব্বির আহমেদ এএসসি জানান, ব্যাটালিয়ন এর অধীন ৬টি মৌজায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্য এবং তাদের শিল্পীদের সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার জন্য আমরা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। আজ এই মৌজা ভিত্তিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সফল সমাপ্তি হয়েছে। এবং ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে আমাদের এই সাংস্কৃতিক উৎসব পালন করবো। এছাড়া খুব শীঘ্রই কাপ্তাই ওয়াগ্গা জোনের আয়োজনে মৌজা ভিত্তিক ভলিবল টুর্নামেন্ট এর আয়োজন করতে যাচ্ছি। উক্ত টুর্নামেন্টকে সফল করতে সকল মৌজার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ কামনা করি।
প্রসঙ্গতঃ কাপ্তাই বিজিবির আয়োজনে এই সাংস্কৃতিক উৎসব গত ১৩ জানুয়ারি উদ্বোধন করা হয়। এদিন ওয়াগ্গা মৌজার তঞ্চঙ্গ্যা শিল্পীরা তাদের পরিবেশনা করেন। এছাড়া গত ২০ জানুয়ারি রাইখালী মৌজা, ২১ জানুয়ারি নারানগিরি মৌজা এবং ৩ ফেব্রুয়ারী ভার্য্যাতলী মৌজা, ৪ ফেব্রুয়ারী চিৎমরম মৌজার শিল্পীরা তাদের পরিবেশনা পরিবেশন করেন। সর্বশেষ শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারী) পেকুয়া মৌজার শিল্পীরা তাদের পরিবেশনা পরিবেশন করেন।