বান্দরবানে বন্যা ও পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত (১৯-৪৯ বয়সী) নারীদের মাঝে ‘নারী মর্যাদা সুরক্ষার উপকরণ সমূহ’ নামে ডিগনিটি কিট বিতরণ করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে তহ্জিংডং ও গণ উন্নয়ন কেন্দ্র (জিইউকে) সার্বিক সহযোগিতায় এবং জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) প্রকল্পের আওতায় ডিগনিটি কিটগুলি বান্দরবান জেলা তহ্জিংডং কার্যালয়ে এসব বিতরন করা হয়।
এসময় তহ্জিংডং নির্বাহী পরিচালক চিংসিংপ্রু সভাপতিত্বের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান পৌরসভা মেয়র সামসুল ইসলাম।
বিতরণকালে প্রধান অতিথি পৌর মেয়র বলেন, বান্দরবানের স্মরণ কালে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের জনজীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। আমরা যতটুকু পেরেছি দুর্গত মানুষের মাঝে সহযোগিতা হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। এমন দুর্যোগকালীণ সময়ে নারীদের সুরক্ষার উপকরণ দিয়ে যারা পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদেরকে ব্যক্তিগতভাবে সাধুবাদ ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আগামীতেও অসহায় মানুষের পাশে থাকার জন্য বিভিন্ন এনজিও সংস্থানের প্রতি আহ্বান করেন এই নেতা।
আয়োজকরা জানান, প্রত্যেক প্যাকেজে প্যান্টি ৩টি, স্যানেটারী প্যাড ৬টি, চাকা সাবান ৬টি, টুটপেষ্ট ১টি, টুটব্রাশ ১টি, লাইফবয় সাবান ৬টি, টর্চ লাইট ১টি, গামছা ১টি, বালতি ১টি, স্যান্ডেল ১জোড়া, মশারী ১টি, নারিকেল তেল ১বোতল ও চিরুনী ১টি। প্রথমদিনে পৌর শহরের ৪ ও ৫নং ওয়ার্ডে ২৭০-৩০০ জন নারীদের মাঝে বিতরণ করেছি। পর্যায়ক্রমে বান্দরবান জেলা ৫হাজার বন্যা কবলিত দুর্গতদের বিশেষ করে যাদের ১৯ থেকে ৪৯ বছর বয়সী নারীর, তাদের মাঝে এসব ডিগনিটি কিটগুলি বিতরণ করা হবে। যদি পর্যাপ্ত না হলে আরও বাড়ানো হবে বলে জানান তাঁরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউএনএফপিএ (UNFPA) ডিএফও তিমথী খিয়াং, (GUK) গণ উন্নয়ন কেন্দ্র, প্রজেক্ট কো-অডিনেটর প্রতিমা চক্রবর্তী, তহ্জিংডং-এর এইচ আর উচনু মারমা সহ উপকারভোগী নারীরা।