প্রাকৃতিক বনাঞ্চল আর নীল জলাশয় বেষ্টিত ১৬০ একর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে ভ্রমণ পিপাসুদের মনোকর্ষণে গড়ে তোলা হয়েছে ‘মানিকছড়ি ডিসি পার্ক’।
এখানকার ছোট-বড় প্রায় ২২টি টিলার ফাঁকে ফাঁকে রয়েছে ৩টি বিশালাকার লেক।
টিলা ও লেকবেষ্টিত সবুজ অরণ্যে রাবার, আম-জাম-লিচু, কামরাঙা, জলপাইসহ ফলদ ও বনজ বাগান।
এই বিশাল সবুজ অরণ্যকে পাখপাখালির অভয়ারণ্য করতে তাতে নতুন করে লাগানো হচ্ছে ১০০ বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ প্রজাতির ফলদ, বনজ, শোভাবর্ধক ও ঔষধীর ২৫ হাজার গাছের চারা।
বুধবার খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন মো. সহিদুজ্জামান চারা রোপন ও গাছে গাছে মাটির পাতিল বেঁধে পাখির নিরাপদ প্রজনন গড়ার অভয়াশ্রম ঘোষণা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য মো. মাঈন উদ্দীন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রক্তিম চৌধুরীসহ জেলা ও উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা।
উদ্বোধন শেষে জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, ১৬০ একর বেদখলে থাকা সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার করে ইতোমধ্যে তাতে পার্ক, দৃষ্টিনন্দন তোরণ, স্থানীয় সংস্কৃতি ও প্রকৃতিকে ধারণ করে নির্মাণ করা হয়েছে ট্যুরিস্ট সেন্টার ও ওয়াশ ব্লক, ট্রি-হাউজ, লেকের পাড়ে নির্মিত ২টি গোলঘর, আকাবাকা সিড়ি দিয়ে লেকে নামার রাস্তাসহ বিকেল অস্তগামী সূর্যের ছটা উপভোগের জন্য সানসেট পয়েন্ট ‘গোধূলী’, রাত্রিযাপনের জন্য ২কক্ষ বিশিষ্ট একটি রিসোর্ট ‘অরণ্য কুটির’ নির্মাণ করা হয়েছে। পাখির অভয়ারণ্য ১০০ বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির ফলদ, ঔষধি ও শোভাবর্ধক গাছের চারা রোপনের মধ্য দিয়ে এই মানিকছড়ি ডিসি পার্ক’কে পাখির অভয়ারণ্য ঘোষণাসহ প্রকৃতিপ্রেমী ও ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের মনোকর্ষণে এই পার্কটিকে পরিপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করার পথ সুগম হল।
দুর্লভ ও বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির গাছের মধ্যে অর্জুন, আমলকি, বহেরা, হরিতকি, নিম, অশোক, রিটা, উরি আম, তমাল, কর্পুর, মান্দার, লোহা কাঠ, ওরা বাঁশ, মহুয়া, বন সোনালু, বক্স বাদাম, নাগেশ্বর, নাগলিঙ্গম, কনকচূড়া, বুদ্ধ নারিকেল, রকতন, টক পেয়ারা, করসাল, জায়ফল প্রভৃতি। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হিসেবে এখানে কটেজ, কীট জোন, হার্টিকালচার পার্ক ও পিকনিক স্পট তৈরি ছাড়াও মাস্টারপ্ল্যানে সড়ক কার্পেটিং ও বিদ্যুতায়ণ করা।