যেকোন মুহুর্তে উপচে পড়বে কাপ্তাই বাঁধের পানি। পানি বাড়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন লাখো মানুষ। কাপ্তাই হ্রদের পানির সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট। বর্তমানে পানি রয়েছে ১০৮.৫৪ ফুট। এমন অবস্থায় তলিয়ে গেছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি। কাপ্তাই হ্রদের পানি ছাড়া বৃদ্ধি না হলে যেকোন সময় উপচে পড়বে কাপ্তাই হ্রদের পানি।
অতিরিক্ত পানিতে ডুবেছে রাস্তাঘাট, স্কুল। নষ্ট হয়েছে ফসলী জমি। দুর্ভোগে পড়েছেন লাখো মানুষ। পানি উঠেছে ১৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। পানি বাড়ায় ৩২১২ হেক্টর ফসলী জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।
রাঙামাটির পুরো শহরের হ্রদ তীরবর্তী সকল বাড়িঘরে পানি উঠে চরম বেকায়দায় পড়েছেন স্থানীয়রা। শহরের ব্রাহ্মন টিলা, রাঙাপানির নুও আদাম, লুম্বিন, আলুটিলার যাতায়াতের সড়ক ডুবে যাওয়ায় পানি বন্ধি হয়েছে প্রায় ৩শ পরিবার। হ্রদে পানি বাড়ায় মানুষের ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ডুবে গেছে সরকারী রাস্তা, স্কুলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
রাঙামাটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো সাজ্জাদ হোসেন বলেন, কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ১৮টি বিদ্যালয়ে পানি উঠেছে। কিছু এলাকায় রাস্তায় ডুবে যাওয়ায় বিদ্যালয়ে যাওয়া যাচ্ছে না।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মৃদুল কান্তি তালুকদার বলেন, লংগদুতে একটি বাঘাইছড়িতে ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পানিতে তলিয়ে গেছে।
রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরণ কার্যালয়ের উপ পরিচালক আপ্রু মারমা বলেন, বন্যার পানিতে কৃষিতে ক্ষতি বাড়ছে। ধান্য জমি, সবজি ক্ষেত, বাগানের ক্ষতি হচ্ছে।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান বলেন, জেলার ৪টি উপজেলায় ১২টি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। ১০ হাজার মানুষ পানি বন্ধি হয়েছে। বন্যার কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে। দুর্গত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির পাশপাশি ত্রাণ কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি সংকট দেখা দেওয়া পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হচ্ছে। দুর্ভোগ কমাতে বাঁধের পানি ছাড়তে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ভারতের মিজোরামের পানি ও স্থানীয় বৃষ্টিতে হু হু করে বাড়ছে হ্রদের পানি। পানি বাড়ার কারণে জেলায় অনেক এলাকার সড়ক ডুবে গিয়েছে। বাধেঁর উপর চাপ কমাতে বাধেঁর ১৬টি দরজা দিয়ে দেড় ফুট পানি ছাড়ছে কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।