ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আনন্দ ও উৎফুল্ল্যে পালিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। তাই রোজা শেষ করে যেন সবাই কাঁদে কাঁধ মিলিয়ে আত্নীয়স্ব্জন, পরিবার পরিজন ও প্রতিবেশী সকলে মিলে ঈদুল ফিতরকে বরণ করে নিতে পারি। সেই লক্ষে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ’র ডাকে জেলা শহরের সকল মজিদের ইমাম ও ঈদগাহ উপ-কমিটির লোকজন নিয়ে শনিবার বেলা ১২টার সময় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ রুহুল আমিন আমিনের সঞ্চলনায় এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ।
প্রস্তুতি সভায় সিন্ধান্ত গৃহীত হয়, এবার পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ও মসজিদগুলোর সমন্বয়ে ৬টি স্থানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদ জামাতগুলো হচ্ছে- কালেক্টরেট জামে মসজিদ সংলগ্ন আদালত মাঠ প্রাঙ্গণ, তবলছড়ি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন কোতোয়ালি থানা মাঠ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড মাঠ, কলেজগেইট সরকারী কলেজ মাঠ, আমানতবাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ ও ভেদভেদি বাইতুস সালাম জামে মসজিদ। ৪-৫টি মসজিদের মুসল্লী নিয়ে একটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তবে শৃঙ্খলা রক্ষা করতে এবং সবাই যেন সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে পারে সে লক্ষে জেলা প্রশাসন উপ-কমিটি গঠন করে দিয়েছে। ঈদুল ফিতরের জামাত সময় সূচি উপ-কমিটি নির্ধারণ করবে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে এবং ঈদ উদযাপনে প্যান্ডেল তৈরিতে সহযোগিতা করবেন পৌরপ্রশাসক। ৬টি ঈদগাহ তদারকি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ইকবাল বাহার চৌধুরী। এসময় স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করবেন সিভিল সার্জন ডাক্তার নূয়েন খীসা। ঈদ জামাতে মুসল্লীদেও অযুর পানির ব্যবস্থা কবেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী বিভাগ, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা করবেন রাঙামাটি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবেন জেলা পুলিশ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডা.নূয়েন খীসা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ রুহুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহমুদ খান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা বিনতে আমিন, জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুন, জামায়াতে ইসলামী রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মনছুরুল হক, প্রবীণ আইনজীবী এডভোকেট মুক্তার আহম্মদ, বিভিন্ন মসজিদের ইমাম-মোয়াজিনসহ আরো অনেকে।