সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং সদ্য নিযুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, জাতির পিতা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিদের জন্য কোটা প্রবর্তন করেছিলেন বলেই পাহাড়ের মানুষ নিজেদেরকে উচ্চ শিক্ষায় অধিকতর বিকশিত করার সুযোগ পেয়েছেন।
তিয়াত্তর সালে রাঙামাটি এসে নিজের চোখে পাহাড়ি জনপদের অনগ্রসরতা দেখে উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠার তাগিত বোধ করেছিলেন। তাঁর (বঙ্গবন্ধু) চিন্তা থেকেই ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড’ সৃষ্টি হয়েছে।
আর এই বোর্ডের জন্মলগ্ন পার্বত্য এলাকায় ক্রমশ: আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তৃণমূলে সম্প্রসারিত হয়ে আসছে। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে সরকার বোর্ডের সক্ষমতা-বরাদ্দ এবং আইনী সুরক্ষার সীমাও বাড়িয়ে দিয়েছেন।
তিনি শনিবার সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি জেলাশহরের মহাজনপাড়াস্থ ‘সূর্যশিখা ক্লাব’ মাঠে আয়োজিত এক সংবর্ধণায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজে’র সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বোধিসত্ত্ব দেওয়ান’র সভাপতিত্বে এবং সূর্যশিখা ক্লাব’র সা. সম্পাদক নোবেল চাকমা’র স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সূচিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ’র সাবেক চেয়ারম্যান মনীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শানে আলম, প্রবীন সমাজকর্মী রবিশঙ্কর তালুকদার, প্রবীন শিক্ষাবিদ ধর্মরাজ বড়ুয়া, সরকারের ডেপুটি এটর্নী জেনারেল আইনজীবি প্রতিকার চাকমা, জেলা পরিষদ সদস্য যথাক্রমে কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, শুভমঙ্গল চাকমা সুদর্শী ও ক্যজরী মারমা এবং জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দিদারুল আলম।
শিক্ষিকা ও সংস্কৃতিকর্মী সবিতা চাকমা’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজে’র সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. সুধীন কুমার চাকমা, বোর্ড চেয়ারম্যানের সহ-ধর্মিনী, বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুজিবুল আলম, সাবেক সহযোগী অধ্যাপক মধুমঙ্গল চাকমা, বিশিষ্ঠ ঠিকাদার এস. অনন্ত ত্রিপুরা ও সমাজকর্মী অমিতা চাকমা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সংবর্ধিত অতিথি সুপ্রদীপ চাকমাকে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল-উত্তরীয়- ক্রেস্ট- চিত্রকর্মসহ বিভিন্ন ধরনের উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়। সংবর্ধনা সভা শেষে স্থানীয় শিল্পী মনোজ্ঞ সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন।