রাঙামাটি সদর উপজেলার বালুখালী ইউনিয়নের বসন্ত পাংখোয়া পাড়ায় এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
গত ২৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আড়াই টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ভিক্টিম স্কুল ছাত্রী তার এক বান্ধুবী ও চার ছেলে বন্ধু সহ পাংখোয়া পাড়ায় ২৫ ডিসেম্বর বড় দিন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিল।
ভিক্টিম ছাত্রী বলেন, তারা সর্বমোট ৬ জন বন্ধু নিয়ে জুরাছড়ি উপজেলা থেকে ২৫ তারিখ বালুখালীর পাংখোয়া পাড়ায় বড়দিন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন।
পরিকল্পনা ছিল ২৪ ডিসেম্বর রাতে তারা মাঝ পথে সবাই মিলে এক জুম ঘরে রাত কাটাবেন। সে অনুযায়িী তারা একটি জুম ঘরে উঠেন।
রাত দেড় থেকে দুই টার দিকে তিনজন লোক আমাদের জুম ঘরে আসে। এসে তারা নিজেদের আঞ্চলিক দলের প্রভাব দেখায়। তারা আমাদের বলে এখানে ছেলে মেয়ে একসাথে থাকা যাবে না। আমাদের পাংখোয়া পাড়ায় নিরাপদে পৌছে দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যায়। কিছু দুরে নিয়ে পাশের একটি জুম ঘরে নিয়ে রাসেল চাকমা ধর্ষণ করে।
ভিক্টিম ছাত্রী বলেন, আমকে রাসেল চাকমা নিয়ে যায়। আমার আরেক বন্ধবীকে রুবেল চাকমা ও জিকো চাকমা নিয়ে যায়। রাসেল আমাকে ধর্ষণ করে। আরেক ছাত্রী বলেন, তাকে ধর্ষণ করা হয়নি। পরদিন সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।
ধর্ষণের শিকার ভিক্টিম ছাত্রী ও তার বান্ধবী বলেন, তিনজনে গলা ও মাথায় মোড়ানো ঘামছা এবং মুখে মাস্ক ছিল। পরদিন বিষয়টি জানাজানি হলে এদের ছবি আমাকে দেখানো হলে আমি ধর্ষকদের চিনতে পারি। ভিক্টিম ছাত্রী বলেন, এ ঘটনার পর তাদের আর বড় দিনে যোগ দেয়া হয়নি।
বালুখালী ইউপি চেয়ারম্যান অমর কুমার চাকমা বলেন বিষয়টি শুনেছি। স্থানীয় মেম্বারকে বিষয়টি দেখতে বলছি।
জুরাছড়ি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিটন চাকমা বলেন ঘটনা সত্য। রাসেল চাকমা ও রুবেল চাকমার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত হয়েছি। অভিযুক্ত রুবেল চাকমা জুরাছড়ি বনযোগী ছড়া ইউনিয়নের ৫ নং এবং রাসেল চাকমা ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তারা দুজনই বিবাহিত এবং পেশায় ভাড়াতে মোটর সাইকেল চালক।
তারা এখন পলাতক। তাদের ধরতে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে বলা হয়েছে। কোন আঞ্চলিক দল যেন তাদের আশ্রয় না দেয় সে বিষয়টি আমরা অনুরোধ করছি।
রাঙামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বলেন, বিষয়টি পুলিশ গুরুত্বসহকারে নিয়েছে। ভিক্টিদের রাঙামাটি আনা হচ্ছে। মামলা হবে। অপরাধীদের ধরতে পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান পরিচালনা করছে।