শুক্রবার , ৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

প্রতারণার ফাঁদ সোহেল রানার / কাপ্তাইয়ে গুপ্তধনের লোভ দেখিয়ে ২৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি
এপ্রিল ৫, ২০২৪ ১২:৩৭ অপরাহ্ণ

 

রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার প্রশান্তি সংলগ্ন এলাকার বালুছড়া এলাকার মোঃ সোহেল রানা ওরফে সোহেল গুপ্তধন স্বর্ণালংকারের লোভ দেখাইয়ে ২৪লক্ষ ২৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা বলেন,এই প্রতারক সোহেল রানা প্রথমে কারও সাথে পরিচয় হলে যদি মুসলিম হয় তাহলে মুসলামনের ধর্মীয় বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে কথা আর হিন্দু হলে হিন্দু ধর্মের দোহাই দিয়ে কথা বলে মানুষকে কাবু করে ফাঁন্দে ফেলায়। ধীরে ধীরে তার প্রতারণার সীমায় ঢুকিয়ে পরে গুপ্ত সোনা গয়নার লোভে ফেলে হাতিয়ে নেয় লক্ষ লক্ষ টাকা। এমনই ঘটনা ঘটেছে কাপ্তাই নতুন বাজার এলাকার জাহানারা বেগমের সাথে।

ভুক্তভোগি জাহানারা বেগম বলেন, সোহেল রানা ও তার স্ত্রী সুফিয়া বেগমের সাথে ৮বছর পূর্বে পরিচয়ের সূত্র ধরে আমাকে বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় উপদেশ মূলক কথাবার্তা বলিয়া আমার সাথে মায়ের মত সম্পর্ক গড়ে তুলে। প্রায় সময় আমার বাড়িতে আসা যাওয়া করে আমরাও তার বাড়িতে যাই। এক পর্যায়ে আমাকে ৭টি গুপ্তধন স্বর্ণের হাড়ি দেবে বলে বিশ^াস স্থাপন করিয়া ধাপে-ধাপে আমার কাছ থেকে ৮লক্ষ টাকা গ্রহন করে গুপ্তধন দিব দিচ্ছি কালক্ষেপন করায় গত ২২ ফেব্রæয়ারি ২০২৪ ইং তারিখে কাপ্তাই থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করি। কিন্তু অভিযোগের ১৫-১৮ দিন অতিবাহিত হয়ে গেল আমি আইনী কোন সহযোগিতা পাচ্ছি না।

এভাবে প্রতারণা করে কাপ্তাই নতুন বাজার হতে জৈনক তরুণ কুমার দে হতে ৬লক্ষ টাকা শয়ন দাশ থেকে ৫লক্ষ টাকা, জাহানারা বেগম হতে ৮লক্ষ টাকা,মোঃ রাজু মিয়া থেকে ৩ লক্ষ টাকা ,কালাছোগা তঞ্চঙ্গা থেকে ২লক্ষ ২৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কাপ্তাই নতুন বাজার এলাকা হতে সর্বমোট- ২৪লক্ষ ২৫ হাজার হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক সোহেল রানা।

অভিযোগকারী তরুণ কুমার দে বলেন,আমার দোকান থেকে কিছু টাকা চুরি হয়ে গেছে তখন আমি সোহেলের কাছে যাই। সে আমার কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা নেন। টাকা নিয়ে বলে ৩-৫ দিনের মধ্যে আপনার টাকা আপনার ঘরে এসে দিয়ে যাবে। ৫দিন পরে আমি সোহেলকে ফোন দিলে সোহেল বলে আমার ঘরে আসেন। ফোনে আমাকে তার ঘরে যেতে বলে । আমি সোহেলের ঘরে গেছে সে আমাকে বলে ভাই এই সামান্য টাকার জন্য এগুলো করে লাভ কি । তার ঘরে গেলে সোহেল আমাকে বলে আপনার ভাগ্যে অনেক কিছু আছে। আপনার ছোট মেয়ের নামে কোটি কোটি  টাকা আছে আপনি ১০টা বস্তা নিয়ে আসবেন। পরে একদিন আমি কোটি টাকা আনার জন্য ১০টি বস্তাও নিয়ে যাই।

পরে আমি জানতে পারি সোহেল রানা তন্দ্র মন্ত্র করে বহু মানুষকে সে ঠকিয়েছে।

মোঃ রাজু বলেন, আমি তো বহু দিন ধরে গাড়ি চালাই। এই সূত্র ধরে সোহেল এর সাথে পরিচয়। এক দিন সোহেল আমাকে বলে ভাই আমি তো আল্লাহ দান স্বর্ণের কলসি পেয়েছি। তবে এই গায়েবি ধন স্বর্ণের কলসি খেতে হলে ২জন মুসলিম ও ২জন হিন্দু লোক মিলে টাকা পয়সা খরচ করে এ স্বর্ণের কলসি খেতে হবে। সে আমাকে দিয়ে ভুয়া ব্যাংক একাউন্ট ও ভুয়া ক্রেডিট কার্ড বানিয়েছে। ওই ক্রেডিট কার্ড দিয়ে নাকি ওই স্বর্ণ বিক্রির টাকা তুলতে হবে। এছাড়া সে আমার কাছ থেকে ২লক্ষ টাকার চেক নিয়েছে। আমি এই প্রতারকের সুষ্ঠু বিচার চাই।

স্থানীয়রা বলেন,সোহেল রানা ও তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম তেমন সুবিধা জনক লোক নহে। তারা সমাজের কারও সাথে কোন সম্পর্ক নাই। তারা মুক্তিযোদ্ধার বাবা ও কোন এক সেনাবাহিনীর কর্মকর্তার প্রভাব দেখায়। কেউ কিছু বললে বিভিন্ন হুমকি ধমকি দেয়।তারা স্বামী ও স্ত্রী মিলে এলাকায় গুপ্তধন, স্বর্ণালংকার পাওয়ায়ে দেবে বলে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নেয়। এছাড়াও বন বিভাগের জায়গা দখল করে দীর্ঘ দিন বসবাস করে আসছে। কেউ কিছু বললে সোহেলের স্ত্রী সুফিয়া বেগম মুক্তিযোদ্ধার পরিবার পরিচয় দিয়ে মানুষকে বøাকমেইল করে।

অভিযুক্ত সোহেল রানা ও তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম বলেন,রাজু,শয়ন,জাহানারা ও তরুণ কুমার দে আমার বিরুদ্ধে যে সকল কথাবার্তা বলছে তার কোন সত্যতা ও প্রমান নাই। এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভুয়া। তারা আমার পরিবারবর্গের মানসম্মান হানি করতে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমরা যে খাস জমিতে থাকি এ জমি দখল করতে তারা এসব কর্মকান্ড করে যাচ্ছে।

কাপ্তাই থানার এসআই মোঃ হাবিবুর রহমান মুঠোফোনে বলেন,জাহানারা বাদী হয়ে সোহেলের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দিয়েছে তা তদন্তাধীন রয়েছে। ইতি মধ্যে দু’পক্ষকে থানায় ডেকেছি। তারা আসবে বলছে কিন্তু হয়তো বা রোজার কারনে আসতে দেরি হচ্ছে। তবে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবো।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

%d bloggers like this: