রাঙামাটি জেলা বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন- জেলা আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল মাওলার ছেলে ও ভাগিনা মিলে বিএনপির নেতাকর্মীদের বেদম মারধর করেছে। বিএনপির তিন কর্মী জখম অবস্থায় রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে শহরের মহিলা কলেজ রোড় ও ভেদভেদি এলাকায় এই মারামারি সংঘটিত হয়েছে।
দলদুটির সূত্র বলছে- আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক সলিমুল্লাহ সেলিমের ভাগিনা রানা গত ১৫ বছরে অনেক অনিয়ম দুর্নীতি ও বিএনপির উপর অত্যার করেছে। গত ৫ সেপ্টেম্বরের পর সেলিমের ভাগিনা রানা বিএনপিতে ঢুকতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
গেল শুক্রবারে নামাজ শেষ করে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় রানাগং যুবদলের বেলাল, নুর মোহাম্মদ ও সফিকের গায়ে হাত তুলে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার রাতে দা-কিরিচ লাঠি সোঠা দিয়ে পৃথক দুই জায়গায় যুবদল কর্মীদের মারধর করে।
এসময় আহত হয়েছেন– পৌর যুবদল ২নং ওয়ার্ডের আহবায়ক নুর মোহাম্মদ, পৌর যুবদল ৭নং ওয়ার্ডের আহবায়ক বেলাল হোসেন ও পৌর যুবদল ৬নং ওয়ার্ডের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম। আহত এই তিনজন রাঙামাটি সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দিপু বলেন, গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ বিএনপিকে হামলা মামলা দিয়ে ঘর বাড়ি ছাড়া করেছেন। আমরা ধৈর্য ধরে ছিলাম। এখন আওয়ামী লীগ পালিয়ে বেড়াচ্ছে এ অবস্থায়ও তাড়া আমাদের ছেলেদের মারধর করছে। এটা কোন ভাবেই মেনে নেওয়ায় যায় না। আমরা এই ব্যাপারে মামলা করবো। মামলার প্রস্তুতি চলছে। আমাদের নিরিহ ৩জন যুবদল কর্মীকে বেধম মারধর করছে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল মাওলার ছেলে ও জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক সলিমুল্লাহ সেলিমের ভাগিনা রানা।
এব্যাপারে জানতে চেয়ে আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল মাওলা ও সলিমুল্লাহ সেলিমকে ফোন করা হলে তাদের মুঠোফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মোঃ সাহেদ বলেন, এই ব্যাপারে মামলা বা অভিযোগ নিয়ে কেউ থানায় আসেনি। আসলে অভিযোগ গ্রহণ করা হবে।