ভক্তি আর আনন্দঘন পরিবেশে মুখর সার্বজনীন শ্রী শ্রী নারায়ণ মন্দির। খাগড়াছড়ির দীঘিনালার শ্রী শ্রী রাস মহোৎসবে ত্রিপুরা, বৌদ্ধ ও সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষের পদচারণায় মুখরিত রাস মহোৎসব। উৎসবে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে শত-শত মানুষ অংশ নিচ্ছেন ধর্মীয় নানা আয়োজনে।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জগতকে রাস উৎসবের মাধ্যমে এটাই বোঝাতে চেয়েছেন যে, প্রতিটি জীবাত্মার একমাত্র উদ্দেশ্য পরমাত্মার সঙ্গে মিলিত হওয়া। রাস উৎসব কেবলমাত্র উৎসবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এর তাৎপর্য আরও গভীর ও বিশাল। শ্রীমতী রাধারানী ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে একান্ত নিজের করে পেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ভগবান কারো একার নন — এ কথাই বোঝাতে রাসপূর্ণিমার রাতে একই সঙ্গে ষোড়শ গোপিনীর সঙ্গে কামনাহীন প্রেমের মাধ্যমে পরমাত্মা ও জীবাত্মার প্রেমের মাধুর্য তুলে ধরেছেন।
উৎসব ঘিরে বসেছে ঐতিহ্যবাহী রাস মেলা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে কেনাবেচা, কীর্তন আর আনন্দ উৎসব।
পাহাড়ি বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ একসাথে অংশ নিচ্ছেন এই মিলন মেলায়। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে উপভোগ করছেন এই উৎসবের রঙ।
গত ৫ নভেম্বর শুভ গঙ্গা আবাহন, রাসপূজার অধিবাসের মধ্য দিয়ে রাস উৎসব শুরু হয়। ধাপে ধাপে চলছে পঞ্চতত্ত্ব পূজা, ভোগরাগ, আরতি, কীর্ত্তণ। উৎসবকে ঘিরে মন্দিরগুলোতে পূর্ণাদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। করা হয়েছে ১৫ হাজার পূর্ণাদের মহাপ্রসাদ বিতরণ। শনিবার ভোরে মহানামযজ্ঞের মধ্য দিয়ে রাস উৎসব শেষ হবে। মেলায় অংশ নিতে দূর দূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা নানা পসরা নিয়ে এসেছেন।


















