বুধবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

রাঙামাটি জেলা পরিষদ মার্কেটের প্লট ঘিরে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ: ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি

প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি
ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫ ১১:০১ পূর্বাহ্ণ

রাঙামাটি জেলার লংগদু উপজেলার মাইনীমূখ বাজারে জেলা পরিষদের নিজস্ব মার্কেটের দোকান প্লট বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, এসব প্লট বরাদ্দের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বিতর্কিতদের নামে বরাদ্দকৃত এসব প্লট এখনো বাতিল করা হয়নি। অথচ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ বিষয়টি জেনেও না জানার ভান ধরে বসে আছে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চলছে গড়িমসি । স্থানীয়দের অভিযোগ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদারের নেতৃত্বাধীন পরিষদ বিষয়টি উপেক্ষা করছে, যার ফলে মার্কেটের প্লট নিয়ে নানা ধরনের অনিয়ম অব্যাহত রয়েছে।

জানা গেছে, মাইনীমূখ বাজারের দোকান প্লট বরাদ্দের ক্ষেত্রে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া প্রথম পক্ষ হিসেবে স্বাক্ষর করেন। চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেও বিতর্কিতদের নামে দ্বিতীয়বার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, অর্থের লোভে ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রভাব খাটিয়ে প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া এসব প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে চলমান, যার মধ্যে বরকল উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির মামলা দুদকের কাছে বিচারাধীন রয়েছে। সম্প্রতি তাকে জেলা পরিষদের দায়িত্ব থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে নানা আলোচনার জন্ম নিয়েছে।

এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া বলেন, মাইনীমূখ বাজারের প্লট জেলা পরিষদের নিজস্ব সম্পত্তি এবং নির্দিষ্ট ভাড়ার বিনিময়ে লিজ দেওয়া হয়। তবে এসব প্লট বেচাকেনার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটা হচ্ছে। অভিযুক্ত দোকান প্লটগুলোর মধ্যে ১০, ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর প্লটের মালিকানা একাধিকবার পরিবর্তিত হয়েছে। ১২ নম্বর প্লট কামাল সওদাগর বিক্রি করেছেন মো. জামাল খলিফার কাছে, ১৩ নম্বর প্লট মো. আলী সওদাগর বিক্রি করেছেন রফিকুল ইসলাম মানিকের কাছে, ১৪ নম্বর প্লট ইউসুফ আলী সওদাগর বিক্রি করেছেন মোস্তফা মামুনের কাছে। স্থানীয়দের প্রশ্ন, একবার বরাদ্দ দেওয়া প্লট কি একাধিকবার বিক্রি করা যায়?

মাইনীমূখ ডেন্টাল কেয়ারের স্বত্বাধিকারী ও অভিযোগকারী আব্দুস সাত্তার বলেন, জেলা পরিষদের দোকান প্লট বরাদ্দে অনিয়মের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েও তিনি কোনো প্রতিকার পাননি। তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে অর্থের বিনিময়ে দ্বিতীয়বার চুক্তি সম্পাদন করেছেন, যা বরাদ্দ চুক্তির নিয়মের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। অন্তর্বর্তী পার্বত্য জেলা পরিষদ দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি বিষয়টি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদারকে অবহিত করলে তিনি পরিষদের সদস্য মিনহাজকে বিষয়টি দেখার দায়িত্ব দেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পরিষদ সদস্য মিনহাজ বলেন, মাইনীমূখ বাজারে জেলা পরিষদ দোকান প্লট নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি। পরিষদ এবিষয় নিয়ে বসে একটা সিদ্ধান্ত দেওয়ার কথা। কিন্ত বসবে বসছে বলে বসা হয় না। দেখি তার পরও উভয় পক্ষকে ঢেকে প্লট বিষয়ে আমি কথা বলবো। সম্প্রতি তার সাথে যোগাযোগ করা হলে এই সদস্য বলেন, শুনেছি তাদের মধ্যে সমাধান হয়ে গেছে। তবে স্থানীয়রা বলছেন, এটা প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনার আরেকটি উদাহরণ।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ও সাধারণ মানুষ জেলা পরিষদের কাছে প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত অনিয়ম তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, যদি কোনো প্লট চুক্তির বাইরে বিক্রি হয়ে থাকে, তাহলে সেসব বরাদ্দ বাতিল করা উচিত। তারা জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তারও সমালোচনা করেন। প্রশাসনিক জটিলতার সুযোগে মার্কেটের প্লটগুলো একাধিকবার কেনাবেচা হওয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। জেলা পরিষদের কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই কীভাবে একাধিকবার প্লট বিক্রি হতে পারে, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন উঠেছে। তারা চান, দ্রুত বিষয়টির সুরাহা করা হোক এবং যারা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত
%d bloggers like this: