টানা ভারী বর্ষণে ও প্রবল বৃষ্টিতে রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় কাউখালী-ঘিলাছড়ি সংযোগ সড়ক ধসে পরায় বিছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ। রোববার (০১জুন) সকালে এ ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
শনিবার দিবাগত রাত থেকে জেলায় ভারী বর্ষণ ও প্রবল বৃষ্টিপাত হয়। বৃষ্টির কারণে কাউখালী-ঘিলাছড়ি সংযোগ সড়ক দু’ভাগে বিছিন্ন হয়ে পড়ে। প্রবল বর্ষণ এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে সড়কের দু’পাশ থেকে মাটি সরে গিয়ে মূলত সড়কটি বিছিন্ন হয়ে যায়। বর্তমানে এ সড়ক দিয়ে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ওই এলাকায় বসবাসরতরা চরম বিপাকে পড়েছে। ব্যাহত হচ্ছে দৈনিন্দন জীবনযাত্রা।
কাউখালী খাল এবং ইছামতী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে। প্রবল বৃষ্টিতে ওই উপজেলার ঘাগড়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালরে ভিতর পানি প্রবেশ করেছে। এ ব্যাপারে জানতে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি ফোন নাম্বারে কল করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
এদিকে বৃষ্টিতে কাপ্তাই উপজলায় ঘাগড়া-বড়ইছড়ি সড়কের মূরালী পাড়া নামক এলাকায় সড়কে পাহাড় ধসে পড়ে। তবে সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন হয়নি।
কাপ্তাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন বলেন, ঘাগড়া-বড়ইছড়ি সড়কের মূরালী পাড়া নামক এলাকায় পাহাড় ধসে পড়লেও সড়ক যোগাযোগ এখনো চালু রয়েছে। তবে সড়কে ধসে পড়া মাটি পানি দিয়ে সরিয়ে ফেলা হবে বলে জানান তিনি।
প্রবল বৃষ্টিতে জুরাছড়ি উপজেলার যক্ষা বাজারে দুপুরে সড়ক ধসে পড়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়টি ধসে পড়ায় উপজেলা সদরের সাথে ওই এলাকার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
অপরদিকে রাঙামাটি চট্টগ্রাম মহসড়কের মগাছড়ি এলাকায় সড়কে গাছ পড়ায় আধাঘন্টা ধরে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। জানা গেছে রাঙামাটি – চট্টগ্রাম সড়কের বেশ কিছু জায়গায় পাহাড় ধসের আশংকা রয়েছে। বিদুৎ এর খুঁটি পড়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ওইদিকে বাঘাইছড়ি উপজেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার জানান ৫৫টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছেন। জনসাধারণকে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলা হয়েছে। বাঘাইছড়ি – দীঘিনালা সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভাংগন দেখা দিয়েছে।
লংগদু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কফিল উদ্দিন জানান, টানা ও ভারী বর্ষণে নদীর পানি বেড়ে কিছু ফসলাদি নষ্ট হয়েছে। তবে বড় ধরনের তেমন কোন ক্ষয় ক্ষতি সাধিত হয়নি। তার পরও
জনসাধারণকে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৪ জুন প্রবল বর্ষণে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মানিকছড়ি শালবাগান অংশে ১০০ মিটার রাস্তা সম্পূর্ণ ধসে গিয়ে দীর্ঘ ৯ দিন সারাদেশের সঙ্গে রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিলো। এছাড়াও ওই সময় পাহাড় ধসে ৫ সেনা কর্মসহ ১২০ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল।