রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ কাচালং সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের ৩৫ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণার দিনেই পদত্যাগ করেছেন ২৪ জন নেতা-কর্মী। অভিযোগ রয়েছে ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী, ছাত্রত্বহীন ও বিবাহিতদের দিয়ে এই কমিটি সাজানো হয়েছে। এতে স্থানীয় ছাত্রদলের ভেতরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
বুধবার (৪ জুন) রাঙামাটি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফারুক আহমেদ সাব্বির ও সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর সুমন স্বাক্ষরিত জেলা ছাত্রদলের প্যাডে (শুক্রবার) একটি বিবৃতির মাধ্যমে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। নব ঘোষিত কমিটিতে হাবিবুর রহমানকে সভাপতি, নাইম উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক এবং মো. হোসেনকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করা হয়। একইসঙ্গে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনাও দেওয়া হয়।
তবে কমিটি ঘোষণার দিন রাতেই দলীয় প্যাডে স্বাক্ষরসহ লিখিতভাবে নব গঠিত কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সিঃ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সহ ২৪ সদস্য পদত্যাগ করেন। পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষরকারীরা দাবি করেন, এই কমিটি গঠনে ও নেতৃত্ব নির্বাচনে স্থানীয় মতামত উপেক্ষা করা হয়েছে। এতে প্রকৃত ত্যাগী এবং কার্যকর ছাত্রদল নেতাকর্মীরা বঞ্চিত হয়েছেন। উক্ত কমিটিতে ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী, ছাত্রত্বহীন ও বিবাহিত এবং ৫ আগষ্ট পরবর্তী বিভিন্ন লোকদের নিয়ে কমিটি অনুমোদন পূর্বক ত্যাগী কর্মীদের অবমূল্যায়ন করা হয়। তাই তারা উক্ত কমিটি থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন।
এদিকে কমিটি গঠন নিয়ে বিরাজমান বিভক্তি ও অসন্তোষের প্রেক্ষিতে বাঘাইছড়িতে ছাত্রদলের রাজনীতিতে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন একাধিক দায়িত্বশীল নেতাকর্মী।
নব গঠিত কমিটির সি: সহ-সভাপতি থেকে পদত্যাগ করা মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, নবগঠিত কমিটিতে যাদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে কলেজে ২ বছর যাবৎ তাদের কোন ছাত্রত্ব নেই। একইসাথে যাকে এই কমিটিতে সাংগঠনিক পদে নির্বাচিত করা হয়েছে তিনি বিবাহিত এবং ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো। এই কমিটির মাধ্যমে ত্যাগীদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। যা আমরা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারিনি। তাই আমরা এই কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করেছি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কাচালং সরকারি ডিগ্রী কলেজের সাবেক সভাপতি নুর কবির বলেন, জেলা ছাত্রদলের পক্ষে থেকে যখন নতুন কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আমরা সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। আমরাও চাচ্ছিলাম নতুন নেতৃত্ব আসুক কিন্তু কমিটি গঠনের পরে দেখা গেল যারা ৫ আগষ্টের পরে দলে ভীড়েছে তাদেরকে দিয়ে কমিটি গঠন করা হল। এমনকি এই কমিটিতে বিবাহিত যুবলীগের কর্মীকেও দায়িত্বশীল পদে বাসানো হলো। অথচ আমি জেলা ছাত্রদলের কাছে আহবানও জানিয়েছিলাম যাতে তাদেরকে কমিটিতে না রাখা হয়।